জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ঃ নারী পুরুষের ব্যাবধান কমেছে বাংলাদেশে

ইউএনডিপি বলছে, নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমে আসার প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ১৮৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ নম্বরে । তবে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দেশটি বড়ো ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে .

ঢাকায় ইউএনডিপির কর্মকর্তা এ কে এম মোর্শেদ বলছেন, এমন অবস্থাতেও এবারে বাংলাদেশের অর্জন হলো নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে আনা।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাপকাঠি

এ কে এম মোর্শেদ, ইউএনডিপি

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ইউএনডিপি বলছে, নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাপকাঠি।

মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ইউএনডিপি প্রধানত তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়। এগুলো হচ্ছে: শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানুষের আয়।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চারভাগের একভাগ মানুষ এখনও চরম দরিদ্র।

ইউএনডিপির কর্মকর্তা মি: মোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্রের অবস্থা নিয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান এ প্রতিবেদনে যুক্ত হয়নি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দারিদ্র পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ এখনও চরম দারিদ্রের মধ্যে রসবাস করছে

বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ এখনও চরম দারিদ্রের মধ্যে রসবাস করছে

বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ৻ এই পরিসংখ্যান যুক্ত হলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও ভালো হতো বলে উল্লেখ করেন মি: মোরশেদ।

ইউএনডিপির সার্বিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন – শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান এবং পাকিস্তানের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে।

যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি ভালো, যার একটি হলো নারীর প্রতি বৈষম্য কমিয়ে আনা।