উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোর সাথে রেল সংযোগ সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন করতে বর্তমান সেতুর পশ্চিম পাশেই যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ শুরু করেছে সরকার। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আগামী বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরুর আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। জাপানের তিনটি কোম্পানী টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। যে কোম্পানী প্রথম হবে তারাই এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ করবে।’ বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেললাইন না থাকায় পরবর্তীতে অনেকটা নকশা বহির্ভূতভাবেই রেললাইন সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু এই সেতু দিয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়েই কয়েক বছর ধরে চলছে ট্রেন।
এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে নয় হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দেবে সাত হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আর সরকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে ২ হাজার ১০ কোটি টাকা। যমুনা নদীর ওপর এই রেল হবে ডুয়েল গেজের এবং ডাবল লাইনের। এর ফলে এক সঙ্গে দুটি ট্রেন দুই প্রান্ত থেকে সেতু পার হতে পারবে।
সে লক্ষ্যে ২০১৫ সালেই রেল সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম শেষ করা হয়। রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যমুনা নদীতে রেল সেতু নির্মাণের জন্য গত বছর এপ্রিলে এই সেতুর বিশদ নকশা তৈরি, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আপডেট এবং দরপত্র ডকুমেন্ট তৈরির জন্য জাপানি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল লিমিটেডকে ৭৪৭ কোটি টাকায় নিয়োগ করা হয় ।