ইসলাম ও ইসলামিক স্টেটের মধ্যে সম্পর্ক –

যুগে যুগে মানব সভ্যতায় প্রমূখ ব্যক্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় যারা ধর্মকে পুঁজি করে আবেগকে কাজে লাগিয়ে গড়েছেন সাম্রাজ্য । ব্যক্তি স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইসলামিক স্টেট । আমেরিকার ইরাক হামলার প্রতিশোধ  ইরাকের সাদ্দাম শাসনামলের সামরিক বাহিনী সৃষ্টি করে এই ইসলামিক স্টেট । তার এক জঘন্য প্রতিরূপ আমরা দেখতে পাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে , ও শ্রীলঙ্কায় আত্বঘাতি বোমা হামলা । কতিপয় মুসলিম নাম ধারী ধারী যুবক এর হত্যাকান্ড ঘটায় – আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে অপমান করে তার নাম উচ্চারণ করে তারা হত্যা করে সাধারণ মানুষদের ।  

তারা কি আদো সত্যিকারের মুসলিম নাকি – তারাই ইসলামের প্রকিত শত্রু ?


যে ইসলামের গোড়াপত্তন হয়েছে শান্তি ও ভালোবাসার ছায়াতলে , যে ইসলামের মহানুভবতা দেখে নিজ ধর্ম বাদ দিয়ে যুগে যুগে মানুষ গ্রহণ করেছে শান্তির  ধর্ম । যে ইসলাম আজো বিশ্বের সবচেয়ে প্রসারমান ধর্ম – প্রত্যেক দিন বিশ্বের কোনায় কোনায় খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা গ্রহন করছে এই শান্তির ধর্ম । তারা সেই দিন সেই শান্তির ধর্মের মহান আল্লাহ তাআলার নাম কে অপমান করে তার পবিত্র নাম উচ্চারণ করে নিশংস ভাবে পশুর মত জবাই করে হত্যা করে বিভিন্ন জাপানি ইঞ্জিনিয়ার  ও বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কর্মকর্তাদের , আত্বঘাতি বোমা হামলায় হত্যা করে শত শত নিরিহ মানুষদের।

আল্লাহর নাম ব্যবহার করে আমাদের প্রিয় নবীর শিক্ষা ও জ্ঞান কেউ ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে  মানুষকে হত্যার মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করা শেখায় ও ইসলামের শহীদ হবার মিথ্যা প্ররোচনা প্রদান করে এরা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না ।

ইসলামিক স্টেট কি বা এদের পরিনিতি কি ?

যুদ্ধে হেরে যাওয়া ইরাকে সামরিক বাহিনী ও ইরাকের জনগণ যখন নিজের আমেরিকার সেনাবাহিনীর সাথে পেরে উঠছিল না  তখন সারা বিশ্ব থেকে যোদ্ধা ও সমর্থন পেতে খেলাফত ঘোষণা করা হয় । সাধারণ মুসলিম তরুণদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী খিলাফতের আদর্শকে সামনে নিয়ে ইসলামিক এস্টেট সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে ।

কিন্তু এর কিছুদিন পরেই দেখা যায় তাদের কর্মকান্ডের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই । তাদের যুদ্ধ কিংবা তাদের সকল কর্মকাণ্ড ইরাকে আমেরিকার হামলা প্রতিশোধ এর জন্য – ইসলাম প্রতিষ্ঠার সাথে এর কোন বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই । যেখানে তারা হত্যা করেছে লাখো লাখো সাধারণ জনসাধারণ , জোর করে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করেছে অনেক প্রাচীন আরব সম্প্রদায়ের মানুষ কে যা কখনো ইসলামের কোন  খিলাফত কখনো করেননি

ইরাকে ইসলামিক স্টেট এর দখলকৃত যায়গায় – ইংরেজি গান শোনার কারনে এক যুবক কে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করে ইসলামিক স্টেট এর অমানবিক যন্ত্র ।

গুলশান হলি আর্টিজানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পিছনের সকল ইসলামিক স্টেটের ব্রেইন ওয়াশ বাংলাদেশি তরুণদের ইসলামের শত্রু হিসাবে ইতিহাসে লেখা থাকবে ।

। আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার নামে যে কোন হত্যাকাণ্ড কিংবা মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা শান্তির ধর্ম ইসলামকে অবমাননা করা ও রাসুলের বিরোধিতা করা
হলি আর্টিজান হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের মৃত্যু শান্তির ধর্ম ইসলামের সর্বোচ্চ বিচার নির্ধারণ  করে । সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে অনেক পাপের শাস্তি প্রদান করেন এর মধ্যে ইসলামের অবমাননা করে আল্লাহর নাম অপবিত্র করে যারা কোটি কোটি মুসলিম এর বিশ্বাস কে অপমান করে  এদের শাস্তি মৃত্যু ।