মায়ানমারে কারখানা বানাচ্ছে টয়োটা বাংলাদেশ নয় কেন ?

জাপানের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয় যে জাপানের বিখ্যাত কোম্পানি মায়ানমারে তাদের একটি গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে ।   কিন্তু এখন এখানে প্রশ্ন থেকে যায় যেখানে বাংলাদেশের প্রায় 90 শতাংশ গাড়ি টয়োটার সেখানে টয়োটা বাংলাদেশ গাড়ির কারখানা না বানিয়ে মায়ানমারে কেন গাড়ির কারখানা বানাচ্ছে টয়োটা ।

হয়তো কিছুদিন পরে মায়ানমারের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ও বাংলাদেশ আমদানি হবে কারণ এটা   টয়োটা । মায়ানমারের সরকার যারা হাজার রোহিঙ্গা দের মৃত্যুর কারণ এবং যার কারনে আজকে রোহিঙ্গারা ঘরছাড়া হয়ে বাংলাদেশে বসবাস করছে তাদের সাথে ব্যবসার জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া  টয়োটা কোম্পানি । ।


আজকে আমরা বিশ্বের 43 তম বড় অর্থনীতি , গাড়ির বাজারে বৎসরে  5 হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে বাংলাদেশ ।  90% শতাংশ বাজার দখলে রয়েছে টয়োটা কোম্পানির কাছে , তারা বাংলাদেশের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বিক্রি করে , নতুন গাড়ি বানানোর কারখানা তৈরি হচ্ছে মায়ানমারে ।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত জাপানের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক   আরো বাড়িয়ে দেওয়া । বাংলাদেশ যে সকল কোম্পানি গাড়ির ব্যবসা করতে চায় তাদের অবশ্যই বাংলাদেশ গাড়ি বানানো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে তা না হলে তারা বাংলাদেশে গাড়ি বিক্রি করতে পারবে না ।  

।  

বাংলাদেশ যদি টয়োটা গাড়ি বানানোর কারখানা শুরু করে তাহলে এই গাড়ির দাম বর্তমান সেকেন্ড হ্যান্ড জাপানিজ আমদানি করা গাড়ির থেকে কম হবে ।  কারণ এতে অতিরিক্ত শুল্ক দেওয়া লাগবে না আমরা কম দামে কোয়ালিটি গাড়ি কিনতে পারব এবং এই কোম্পানির কারখানায় কাজ করবে হাজারো বাংলাদেশি । বাংলাদেশের  সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা এবং শেষমেষ উপকৃত হবে বাংলাদেশ ।

আমরা ভুলে যাব না  রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার মায়ানমার সরকারের সাথে ব্যবসা ও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া জাপানি টয়োটা কোম্পানি।শেষ পর্যন্ত আসলেই টয়োটা মায়ানমারে গাড়ি বানানোর কোম্পানির শুরু করে তাহলে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের সকল স্বাবলম্বী জনগনের উচিত হবে এর পরবর্তী গাড়িটা  টয়োটা কোম্পানির না কিনে মিতুবেশি কোম্পানির যে কোন গাড়ি কেনা ।

গত মার্চ মাসে জাপানের মিতুবেশি  কোম্পানি বাংলাদেশ 100 মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে যার মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামের মিরসরাই ইপিজেডে গাড়ি বানাবে ।

আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন আমেরিকা সকল আমদানিকৃত জিনিসের উপর শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে সেভাবে বাংলাদেশ  সেকেন্ড হ্যান্ড টয়োটা গাড়ি আমদানির পিছনে শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া উচিত । আমাদের বাংলাদেশের উচিত যারা বাংলাদেশকে সম্মান করে বাংলাদেশ গাড়ি বানানোর চেষ্টা করছে তাদের কোম্পানির  কেনা ।