বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি , সাবেক সেনাপ্রধান ও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব হোসেইন মুহাম্মদ আজ ১৪ জুলাই সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ২৭ জুন তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এক সময়ের সামরিক বাহিনীর প্রধান আজ সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালেই তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
মঙ্গলবার সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এরশাদকে
বাংলা ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাশ করার পর ১৯৫১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন । ১৯৬৮ সালে তিনি মেজর পদে পদোন্ন্যতি পান । ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯ – ১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক ও ১৯৭১ – ১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিলেন। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তিনি পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তান থেকে আটকে পড়া বাঙালিরা যখন ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে আসে তখন তিনিও প্রত্যাবর্তন করেন।
৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ।