বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী দীর্ঘ গবেষনার পর পাটের জন্মসূত্র আবিষ্কার করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সংসদে জানিয়েছেন । বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী পাটের জীবনরহস্য বা জিন নকশা (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেছেন। ড. মাকসুদুল আলম, ড. হাসিনা খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্থানীয় বিজ্ঞানী এবং বায়োইনফরমেটিকস স্পেশালিষ্টদের দীর্ঘ গবেষনার ফসল পাটের এই জীবন নক্সার উন্মোচন। জুট জেনম প্রকল্পঃ “স্বপ্নযাত্রা” নামের বাংলাদেশী এই গবেষনা কনসোর্টিয়েমের এই যুগান্তকারী আবিষ্কার গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্বের সাথে ঘোষনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন এই সাফল্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাটের সোনালী দিন আবারও ফিরে আসবে বলে তারা আশা করছেন৻
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপারটি রাইটস বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার যাতে বাংলাদেশের থাকে সেই লক্ষ্যে সরকার এখন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে৻
গবেষকরা বলছেন, জন্মসূত্র আবিষ্কারর মাধ্যমে সারা বছর কীভাবে পাট উপাদন করা যাবে তাও জানা সম্ভব হবে৻
বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান এবং জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক পাটের জন্মসূত্র আবিষ্কার করেন
বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রানালয়ের আর্থিক সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের সাথে মালোয়েশিয়ার বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিকেল বায়োলজী বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় পাটের জীবন নক্সা (জেনেটিক ম্যাপ) উন্মোচন করেছেন।
ধানের জিনরহস্য উন্মোচিত করার ফলে যেমন উৎপাদন অনেক বাড়ানো সম্ভব হয়েছে তেমনি পাটের ক্ষেত্রেও এর গুনাগুন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সক্ষম হবে, নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পাট উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বাড়বে পাটের বহুমুখী ব্যবহার।
প্রধান মন্ত্রীর এই ঘোষনা সময়ে জাতীয় সংসদের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে ড. মাকসুদুল আলম, ড. হাসিনা খান ও মাহবুবজামান উপস্থিত ছিলেন।। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা শুনে তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা গবেষনায় সার্বিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply