জার্মানিতে ইসলাম-বিরোধী রাজনীতিক কাঠগড়ায়

pegidaImage copyrightJohannes Simon Getty
Image captionমিউনিখে পেগিডার একটি অভিবাসন বিরোধী মিছিল
জার্মানিতে বর্ণবাদি ঘৃণা উস্কে দেবার অভিযোগে ইসলাম ও অভিবাসন-বিরোধী সংগঠন পেগিডার নেতা লুতজ বাখমানের বিচার শুরু হয়েছে।
২০১৪ সালে ফেসবুকে তিনি সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীদের গরুছাগল এবং আবর্জনা বলে বর্ণনা করে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জন্যই তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন।
আদালত বলেছে, ওই মন্তব্যে আশ্রয়প্রার্থীদের মর্যাদার ওপর আঘাত করা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি লরেন্স হাসে বলছেন, মি. বাখমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
মি বাখমান অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, এর সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।
৪৩ বছর বয়সী লুৎস বাখমান পেগিডা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
২০১৪ সালে জন্মের পর থেকেই সংগঠনটি জার্মানির বিভিন্ন শহরে ইসলাম ও শরণার্থী-বিরোধী সভা সমাবেশের আয়োজন করেছে যাতে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সবচেয়ে বড় সমাবেশটি হয়েছিলো কোলনে, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় নারীদের ওপর যৌন হামলার অভিযোগ ওঠার পর।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত বছর জার্মানিতে শরণার্থীদের এক হাজারেরও বেশি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
জার্মানির ড্রেসডেন শহরে যে আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে লুৎস বাখমানের বিচার শুরু হয়েছে — তার বাইরে তার ।নেক সমর্থকক ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন।
এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে মি. বাখমানের সাজা হয়েছে। তাকে জেলও খাটতে হয়েছে।
১৯৯৮ সালে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় তাকে প্রায় চার বছরের মতো কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে যান। পরে তাকে জার্মানিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
বৈধ ভিসা না থাকার কারণে তাকে জেলেও কাটাতে হয়েছে। কোকেন রাখার কারণেও তাকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *