বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার শর্তাবলী সমূহ

রাইড শেয়ারিং সার্ভিস

বাংলাদেশ দিন দিন অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো জনপ্রিয় উঠেছে। 2017 সালের পূর্বে এই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য কোন সুস্পষ্ট শর্তাবলী ছিল না কিন্তু 2017 সালে বাংলাদেশ সরকার এই সকল রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য ৮টি অনুচ্ছেদে মোট ৫০টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।

এর মধ্যে গ্রাহক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু শর্ত এখানে উল্লেখ করা হলো:
১) যাত্রা শুরুর আগে ভ্রমণের সম্ভাব্য ভাড়া যাত্রীদের জানানো এবং চালকের ছবি, নাম, মোটরযানের নিবন্ধন নম্বর দেখানোর মতো সুবিধা অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২) এসব অ্যাপে পরিচালিত প্রতিটি যাত্রা পুলিশ কন্ট্রোল রুম যেন প্রয়োজনে সরাসরি নজরদারি করতে পারে তার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩) রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টার সপ্তাহে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকতে হবে।
৪) রাইড শেয়ারিং অ্যাপে এমন একটি এসওএস সুবিধা রাখতে হবে যার বোতাম স্পর্শের সাথে সাথে মোটরযান চালকের তথ্যাদি ও যাত্রীর জিপিএস লোকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৯৯৯ নম্বরে চলে যাবে।
৫) বিআরটিএ-এর ওয়েবসাইট এবং রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাপসে অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তির গতিবিধি অনুসরণের সুবিধাসহ সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকতে হবে।

অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং

৬) রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, অন্য কোন পক্ষের কাছে ড্রাইভার বা যাত্রীর ব্যক্তিগত, সনাক্তযোগ্য কোন তথ্য প্রকাশ করবেনা। এবং এসব তথ্য বাংলাদেশের মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করতে হবে। কোন তথ্য বাংলাদেশের বাইরে পাঠানো যাবেনা
৭) রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসব অ্যাপ্লিকেশনের ইন্সটলেশন ও সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে।
৮) একজন মোটরযান মালিক শুধুমাত্র একটি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় সেবা প্রদানের অনুমোদন পাবেন।
৯) ব্যক্তিগত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের একবছর পর এসব রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় সেবা দিতে পারবে। তার আগে নয়।
১০) রাইড শেয়ারিং – এর অ্যাপ ও ওয়েব দুটি স্থানেই ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

১১) মোটরযান চালকের জন্য স্পষ্ট কিছু বিধি বিধান রয়েছে। সেগুলো হল: ট্রাফিক আইন মেনে চলা, যে কোনো দূরত্বে যাত্রী বহন করা, যাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য রক্ষা করে আচরণ করা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখা, সার্ভিস পরিচালনার সময় ধূমপানসহ যেকোনো ধরণের নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।
১২) যদি যাত্রীদের সঙ্গে এই পরিসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও বিরোধ সৃষ্টি হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে বিআরটিএ আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

সম্পূর্ণ নীতিমালার সরকারি গেজেট

রেফারেন্স – রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭, গেজেট – BRTA, পাঠাও বা উবারের মতো রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধনের শর্তগুলো কী