১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং’র আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা ৫ দিনের সরকারী সফরে চীনে যান । প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১৭২৩) এখানে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে । চিনের সাথে বাংলাদেশের ৯ টি চুক্তি সম্পাদিত হয়ঃ ১. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য সংক্রান্ত এলওই।২. সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
৩. ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা।
৪. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ।
৫. বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি।
৬. ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
৭. পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক জোরদার প্রকল্পের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।
৮. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট।
৯. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর এবারের চীন সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং, প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এবং চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে আমি বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরি। বিদায়বেলায় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। চীনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার লু ঝায়োহু এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজুলল করিম তাঁকে বিদায় জানান । বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নাই যে, এটা (রোহিঙ্গা সমস্যা) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।’
তিনি এই সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সমাধানের পক্ষে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেন, এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন।