পৃথিবীর ফুসফুস কে বাঁচাতে ২২ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জি-সেভেন

আমাজন বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাজন অরণ্যের গুরুত্ব অনেক। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। আমাজন পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্যের একটি। এই বনের নদী বা আমাজন নদী বেশির ভাগ নদীর উৎস। এই নদী বিশ্বে প্রচুর পানির যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়াও আমাজনে ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরিসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তনপায়ী প্রাণী আছে। পাশাপাশি আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী আছে।

বিগত কয়েক দিন ধরে জ্বলতে থাকা দাবানলে প্রতিনিয়ত তিলে তিলে নিঃশেষ হচ্ছে আমাজন বনের বিভিন্ন অংশ। এবার সেই আমাজন কে বাঁচাতে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে রাজি হয়েছেন জি-৭ নেতারা।
আমাজনের বিধ্বংসী আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তায় জি-৭ সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বনেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

সোমবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাজনের আগুন নেভাতে ব্রাজিল ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে রাজি হয়েছেন জি-৭ নেতারা।

যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; তাদের যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য করার ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হয়েছি।

অবিলম্বে এই তহবিল সরবরাহ করা হবে জানিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ওই অঞ্চলে আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে সেনা সহায়তাতেও প্রস্তুত আছে ফ্রান্স।

১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গল। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যামাজনের এক হাজার ২০০টি স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রেকর্ড গতিতে পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’খ্যাত আমাজন জঙ্গল।

ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলছে, এ বছর আগস্ট পর্যন্ত ব্রাজিলে ৭৫ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আগুনের ঘটনা আমাজন জঙ্গলে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।

জি-৭’র সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) জি-৭ এ প্রতিনিধিত্ব করে।