পুকুর খনন শিখতে বিদেশ সফর

একটি দেশের সরকার চলে জনগণের কর ও ট্যাক্সের টাকায় । যত বাজেট বা প্রবিদ্ধি হোক না কেন একজন রিকশাওয়ালা যখন এক প্যাকেট বিস্কুট কিনে খান তার উপরে ১৫% কর মুল্য হিসাবে পরিশোধ করেন তিনি । জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রস্তাবিত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)  ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচে ব্যবহার’ শীর্ষক প্রক্লপের ১৬ জন কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন ।

প্রকল্পের ১৬ কর্মকর্তা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস—যেকোনো একটি দেশ সফর করবেন। পুকুর পুনঃখনন ও ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের কাজে দক্ষতা অর্জনে ১৬ কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন। প্রথম পর্যায়ে আটজন ও পরবর্তী পর্যায়ে আট কর্মকর্তা এই সফরে যাবেন।

এই বিষয়ে প্রথম আলোকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারোয়ার জাহান বলেন

” নতুন কোনো প্রকল্প হলেই তার সঙ্গে বিদেশ সফর রাখার মানেই হচ্ছে জনগণের ওপর করের চাপ বাড়ানো। তিনি মনে করেন, আগে দেশীয় জ্ঞান ও বিবেচনা কাজে লাগিয়ে দেখতে হবে। তাতে একান্তই সম্ভব না হলে একজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনা যেতে পারে । এখন ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই অনেক বিষয়ে জানা যায়। নেটেই অনেক পড়াশোনা করা যায়। ঘরে বসেই অনেক তথ্য জানা যায়। আর পুকুর খনন ও সেই পানি সেচে ব্যবহার করার জ্ঞান লাভের জন্য বিদেশ সফরের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না ”