৩১ আগষ্ট শনিবার সকাল দশটায় ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ করা হয়। নতুন এই প্রকাশিত এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েন প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর আসামে শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা। রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, ১৪ লাখ মানুষ বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। ওই ১৪ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে আপোষের পথে হাঁটবে না আসামের বিজেপি সরকার।
হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, সীমান্তবর্তী জেলার বাসিন্দাদের নথি আবার খতিয়ে দেখা উচিত। তাঁরা নথিতে কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ১৪ লাখ বেআইনি শরণার্থীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান
জানা গেছে, ওই তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ১৯ লাখ শরণার্থী আবার তাঁদের নথি জমা দিয়ে তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। আর এই আবেদন করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এদিকে, এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়া নিয়ে গতকালই তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে এনআরসির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই এই অন্যায় মেনে নেওয়া যাবে না। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
মমতার ওই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে হিমন্ত অভিযোগ করেছেন, মমতা এনআরসির বিরোধিতা করছেন। কারণ তাঁরা তাঁর ভোট ব্যাঙ্ক।
হিমন্তের এই বক্তব্যের পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আসামে। তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।