শুক্রবার (১৫ই মে) বিজেপিশাসিত ভারতের উত্তর প্রদেশে আজান সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাই কোর্ট ওই নির্দেশ প্রদান করেছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়, যদি কেউ জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অজিত কুমারের সমন্বিত বেঞ্চ বলেন, ‘আমাদের মতে আজান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু, লাউডস্পিকার ও অন্যান্য যন্ত্রের সাহায্যে আজান দিতে না দেওয়ার বিষয়টি কখনই সংবিধানে বর্ণিত ২৫ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে না। সংবিধানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যতক্ষণ না কারোর সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ততক্ষণ অন্য একজন নাগরিক তার ভাল লাগছে না এরকম কিছু শুনতে বাধ্য নন।বরং যদি তাকে ওই কাজ করতে বাধ্য হতে হয় তাহলে তা আইনবিরোধী।’
আদালত বলেছে, শব্দদূষণমুক্ত ঘুমের অধিকার জীবনের মৌলিক অধিকারের অংশ। মানবকণ্ঠে মসজিদ থেকে আজান দেওয়া যায়। কারোরই নিজের মৌলিক অধিকারের জন্য অন্যের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করার অধিকার নেই। গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে লাউডস্পিকারে আজান ইস্যুতে এলাহাবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন গাজীপুরের বিএসপি নেতা। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার উপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন আফজাল আনসারি এমপি। কিন্তু, ওই আবেদন খারিজ করে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া বন্ধ করতে বলছে আদালত।