করোনা পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস মহামারী হিসাবে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এই দেশেও মানুষ নতুন করে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষার (এইচএসসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলাম। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখানে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী, পুরোপুরি গণপরিবহন চালু হতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। সেজন্য পরীক্ষাকেন্দ্র বহুগুণ বৃদ্ধি করতে হবে, তারপরও ঝুঁকি থেকে যাবে। সেটি কোনোভাবে নেওয়া সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। সে কারণে পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারছি না। যখনই মনে করব পরীক্ষা নেওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তখনই আশা করি দু’সপ্তাহের সময় দিয়ে পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করবো।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং যদি আরো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে তার ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পিছিয়ে না পড়ে, তাদের শিক্ষা জীবন যাতে ব্যাপকভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যখন খুলে দেওয়া হবে তার জন্য চেষ্টা থাকবে কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারি, তার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের সংক্রমণ ঠেকাতে হবে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো অনেক সতর্কতার মধ্যে এবং সেগুলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখতে মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে। কাজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব সহসা খুলবার পরিস্থিতি এখনও নেই। যখন অনুকূল পরিস্থিতি হবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব।

শিক্ষাবর্ষ কমবে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম আড়াই মাস ক্লাস করতে পেয়েছে। এ বছর কত সময় পার করতে পারবে তা কারো বলা সম্ভব না। হাফ ইয়ারলি (পরীক্ষা) করার সময় নেই। বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি হবে না, কোনো সিলেবাসে হবে কতটুকু হবে, শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরে শেষ হবে না আগামী বছরে নিয়ে সমন্বয় করা হবে; সবই বিবেচনা করা হবে। সব নির্ভর করবে মহামারী পরিস্থিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ওপর।