এম ভি ওএলই হিন্দ নামে কন্টেইনারবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে কাত হয়ে গেছে। বন্দর ত্যাগের ঠিক আগ মুহূর্তে রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম ১১ নম্বর জেটিতে এটি কাত হয়ে যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ রাত পর্যন্ত জাহাজটি থেকে কন্টেইনার নামিয়ে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক সময় সংবাদকে বলেন, ‘ভাটা আসার পর থেকে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু জাহাজটির নিজস্ব ক্রেন কাজ করছে না। তাই বন্দরের ক্রেন ব্যবহার করে সতর্কতার সাথে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। রাতের মধ্যে জাহাজটির ভারসাম্য চলে আসলে জাহাজটি সোমবার জোয়ারের সময় বন্দর ছেড়ে যেতে পারবে।’
জাহাজটিতে ১০৫টি খালি কন্টেইনার রয়েছে। মূলত পণ্যবাহী কন্টেইনারগুলো নিচের দিকে রেখে উপরে খালি কন্টেইনার রাখতে হয়। কিন্তু জাহাজটিতে খালি কন্টেইনারের উপর পণ্যবাহী কন্টেইনার রাখতে গিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক শিপিং লাইন সেইটস ওরিয়েন্টের মালিকানায় রয়েছে ২৫ বছরের পুরাতন এই জাহাজটি।
বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ১ হাজার ১৫৫ টিইউএস কন্টেইনার পণ্য নিয়ে রোববার সকালে বন্দর ত্যাগের ঠিক আগ মুহূর্তে ১১ নম্বর জেটিতে কাত হতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে জাহাজটিকে কাত হওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করে। কারণ জাহাজটি কোনো রকম দুর্ঘটনায় পতিত হলে বন্দরের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। তাই প্রথম পর্যায়ে জাহাজ থেকে ৮টি কন্টেইনার নামিয়ে ভারসাম্য ফেরানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু তারপরেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সন্ধ্যার পর আবারো ভাটা পড়ে আসলে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর চেষ্টা করা হয়। জাহাজের নিজস্ব ক্রেন বিকল থাকায় কন্টেইনার নামাতে দারুণ বেগ পেতে হয়। শেষ পর্যন্ত গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে এমন কোনো জেটিতে নিয়ে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু ১১ নম্বর জেটি থেকে গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে এমন জেটিতে নেয়া কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিরাপদে কন্টেইনার নামানোর কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে বন্দর কর্মকর্তাদের।