সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ভারত ও আমেরিকার মাঝে যোগাযোগ, সামঞ্জস্য, নিরাপত্তা চুক্তি নামে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।এর আগে অনেকবার বাংলাদেশ কে সামরিক চুক্তি করার জন্য আমেরিকা বললেও বাংলাদেশ কোন চুক্তি করতে রাজি হয় নি । ভু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত ও আমেরিকার এই চুক্তি ও নতুন বন্ধুত্ব সাউথ এশিয়ার ভু রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে ব্যাপক ভাবে ।
পাকিস্তানের সাথে অ্যামেরিকার ডিভোর্স
এর আওতায় উভয় দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের সঙ্গে গোপনীয়তার হট লাইন স্থাপিত হবে । এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সশস্ত্র গার্ডিয়ান ড্রোন দেবে । এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম ভারত আমেরিকার সাথে সামরিক চুক্তি সম্পাদিত করে যাতে , আমেরিকা প্রয়োজন এর সময় ভারতের সামরিক স্থাপনা ও এয়ারপোর্ট সামরিক কাজে ব্যাবহার করতে পারবে . ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ম্যাটিস বলেন এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতা আরও গভীর করবে এবং আমরা সর্বসাম্প্রতিক উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করবো , যা আমাদের উভয় দেশকে করবে আরো শক্তিশালী।
নতুন গ্রালফ্রেন্ড কে উপহার হিসাবে দেওয়া হবে গার্ডিয়ান ড্রোন সিস্টেম – যা ভারতকে রিমোটলি যে কোন স্থানে আঘাত ও নজরদারি করার ক্ষমতা দেবে । । যা ন্যাটো র বাইরে অ্যামেরিকার বিক্রয়ক্রিত প্রথম দেশ ।
ভারত প্রথাগত ভাবে রাশিয়ার বলয়ে থাকলেও এখন তারা ধিরে ধিরে আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ছে ।
কিছুদিন আগে আমেরিকার প্যাসিফিক কমান্ড তার নাম পাল্টে রাখে ঈন্দো প্যাসিফিক কমান্ড – যা ভারতের প্রতি অ্যামেরিকার ভালবাসার প্রমান ।
এইদিকে সদ্য ডিভোর্স পেপারে সাইন করা আমেরিকা তার এক্স গ্রালফ্রেন্ড পাকিস্তানের সাথে আরো দুরত্ব বজায় রাখতে চাইছে ।
বাংলাদেশের ভু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সামরিক চুক্তি ও আমেরিকা ও ভারতের নতুন প্রনয় অনেক সচেতনতার সাথে দেখতে হবে
বাংলাদেশ এর সামরিক বাহিনীকে ।
? bdnewsnet.com
Leave a Reply