বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার জেলায় বিশাল সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নৌবাহিনীর জন্য নির্মাণের শক্তিশালী অত্যাধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কুতুবদিয়া আইল্যান্ড চ্যানেলের পাশে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে এই শক্তিশালী সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করা হবে। এই সাবমেরিন বেসকে বি.এন.এস শেখ হাসিনা নামে নামকরণ করা হবে।
নতুন সাবমেরিন বেসটি গভীর সমুদ্র বন্দরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবস্থিত। সাবমেরিন বেসটিতে স্থল এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে এবং একই সাথে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সেনা স্থাপনা থাকবে। নতুন এই বেসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ তম পদাতিক ডিভিশন থেকে এক ঘন্টা দূরত্বে এবং নিকটতম এয়ারফোর্স বেস থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
একটি সাবমেরিন বেস নির্মাণ বা উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য একটি জটিল ও নতুন চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি ২০২৪ সালের পর সম্পূর্ণ হবে এবং এই নতুন সাবমেরিন বেসের জন্য প্রায় ১.২ বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করা হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিজস্ব ডকইয়ার্ডে ১.৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৬ টি স্বয়ংক্রিয় মিসাইল ফ্রিগেট জাহাজ নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে। এই নির্মাণ প্রকল্পে চীনা ও ডাচ জাহাজ নির্মাতারা নৌবাহিনীর সাথে নৌ-জাহাজ নির্মাণে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
তাছাড়া বাংলাদেশ সরকার এর আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে আনুমানিক ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সরকারী চুক্তির মাধ্যমে চীন বা রাশিয়ার থেকে তিনটি অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী চীন থেকে ১৯৩ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের ১২ই মার্চ দুটি মিং শ্রেণীর সাবমেরিন ক্রয় করেছে এবং ভবিষ্যতেও রাশিয়া বা চীন থেকে আরো কয়েকটি সাবমেরিন ক্রয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।