বাংলাদেশে আজ ১১ মে পর্যন্ত ২৩৯ জন মারা গেছেন মোট আক্রান্ত ১৫ হাজার ৬৯১ জন । গতকাল মারা গিয়েছিলেন ১৪ জন । ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মানুষ শনাক্ত হয়েছেন । ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন ও রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন । গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনায় শনাক্ত বিবেচনায় মৃতের হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ডা.নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ২৬৭টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৪২টি। নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের তুলনায় ১ হাজার ৬২৫টি বেশি।
লকডাউন শিথিল পরবর্তী পরিস্থিতি কি সামাল দিতে পারবে বাংলাদেশ?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশে লকডাউন শিথিল করার সময় জনস্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে নেয়া হয়নি । মৃতের সংখ্যাও বেড়ে যাবে, ভোগান্তির সংখ্যাও বাড়বে। এটিকে যোগ-বিয়োগ করলে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করার মধ্য দিয়ে যতটা লাভবান হওয়ার কথা ভাবছি, স্বাস্থ্য খাতে খরচ এবং ভার বেড়ে যাওয়ার কারণে তা না হয়ে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে
সামনের অবস্থা কি সামলানো যাবে?
শনিবার দুপুরে একজন অতিরিক্ত সচিব কিডনি জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যান। তার মেয়ে অভিযোগ করেন, কোভিড-১৯ এর কোন উপসর্গ না থাকলেও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও তার বাবাকে ভর্তি করাতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । কিন্তু আইসিইউ সেবা না পেয়ে তার মৃত্যু হয়।সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে বর্তমানে বেসরকারি চিকিৎসা খাত ইনঅ্যাকটিভ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। এটাকে অ্যাকটিভ বা সক্রিয় করা হলে চিকিৎসা সক্ষমতা বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে গেলে বর্তমান স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে তা সামাল দেয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে আলাদা মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকে বলছেন যে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। আবার অনেকে বলছেন যে, বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিকল্পিত উপায়ে ব্যবহার করা গেলে এটি দিয়েই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সামাল দেয়া সম্ভব।