বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর বাসিন্দারা বলছেন যে তীব্র শীতের কারণে এসব জায়গায় জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
বুধবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় যাশোরে, সেখানে তাপমাত্রা সাড়ে চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
যশোরের বর্তমান তাপমাত্রার চেয়েও কম তাপমাত্রা একবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৫০ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী, সেদিন তাপমাত্রা ছিল ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু করার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী শ্রীমঙ্গলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের সবনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে পাবনার ইশ্বরদীতে, ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশের একটা বড় অংশ এখন কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা, ফলে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না বেশীরভাগ জায়গায়।
পুরো দেশ জুড়েই তীব্র শীত।
আবহাওয়া দপ্তরের উপপরিচালক শাহ আলম বলছেন যে তীব্র ঠাণ্ডার কারণ হলো কুয়াশার জন্যে সূর্যের তাপ মাটিতে পৌঁছুতে পারছে না।
তিনি বলেন, এর সাথে যোগ হয়েছে সাইবেরিয়া বা এর কাছাকাছি থেকে আসা উত্তর-পশ্চিমের বায়ুপ্রবাহ, যা তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার এই বায়ুপ্রবাহ নিচে নেমে আসে, একথা জানিয়ে শাহ আলম বলেন যে এর ফলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলো এবং যশোর ও কুষ্টিয়াতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রভাব বিস্তার করে।
- বিবিসি বাংলা
Leave a Reply