অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী এই সীমান্তকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদসংকুল সীমান্ত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে।
আর বিএসএফ-কে ট্রিগার হ্যাপি বাহিনী হিসেবেও চিহ্নিত করেছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যা অর্থ হলো এই বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে পছন্দ করে।
২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এক দশকে বিএসএফের গুলিতে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের নিহত হবার ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি দিবস উপলক্ষে ঢাকার পিলখানায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নিহত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনাদের প্রচেষ্টায় বিএসএফের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ফলে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে।”
অপরাধ দমনে বিজিবি সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করছে, ভারতের সাথে সীমান্তে হত্যার ঘটনা এতই বেশী যে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে গড়ে ৫০ জনের মতো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়েছে।
Leave a Reply