১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে সামরিক আদালতে বিচার করে কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রিট মামলায় হাইকোর্টে রায় হলো।
বাংলাদেশে সাড়ে তিন দশক পর সামরিক আদালতে কর্ণেল আবু তাহেরের বিচারকে অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে হাইকোর্ট।
ঐ বিচারকে বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছে, সামরিক আদালত গঠন এবং ঐ বিচার কার্যক্রমের সবকিছুই অবৈধ এবং সংবিধান পরিপন্থী।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের সামরিক আদালতে গোপন বিচার বাতিল করে দিয়ে হাইকোর্ট ঘটনাটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে।
একই সাথে আদালত কর্নেল তাহেরকে শহীদ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থান চলে।
সেই প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেওয়ার পর ১৯৭৬ সালে জুলাই মাসে কর্নেল তাহেরসহ ১৭ জনকে সামরিক আদালতে গোপন বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল।
বিচারের কয়েকদিন পরই সেসময় ২১ শে জুলাই কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেছেন, সামরিক আদালতের বিচারের ঘটনার ক্ষেত্রে একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে, সে কারণেই আদালতের এই রায়ে অন্য বিষয়গুলো এসেছে এবং তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঐ ঘটনার পঁয়ত্রিশ বছর পর এসে চারটি রিট মামলা করা হয়েছিল। যে রিট মামলাতেই আদালতেই এই রায় হলো।
রিট মামলাগুলো করেছিলেন কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের এবং তার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেনসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের পাশাপাশি জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুসহ পাঁচজন রিট মামলা করেছিলেন, তাদেরও ওই সামরিক আদালতে বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল।
Leave a Reply