সম্প্রতি এক গবেষণায় ধরা পড়েছে এমনটাই। স্ত্রীয়ের পেশাগত সাফল্য নাকি স্বামীদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার অন্যতম কারণ। খোদ আমেরিকায় হওয়া এই গবেষণায় উঠে এসেছে পুরুষদের এই মানসিক নিদারুন অবস্থার কথা । অসহায় বোধ করা, পরিচয় সঙ্কটে ভোগা, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা, অনুপ্রেরণার অভাব ও আত্মবিশ্বাসের অভাবেও ভুগে থাকেন পুরুষেরা ।
যা অনেক ক্ষেত্রে দাম্পত্ব কলহ সৃষ্টি করা বা স্ত্রীকে অহেতুক সন্দেহ করার মানসিকতা তৈরি হয় । তাই অনেক ক্ষেত্রেই স্বামিরা স্ত্রীর চাকরি করার পেছনে প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায় । গবেষণার ফলাফল বলছে স্ত্রী যদি পারিবারিক আয় বাড়াতে সাহায্য করে, তাতে কোনও সমস্যা হয় না, কিন্তু পারিবারিক আয়ের ৪০ শতাংশ যদি স্ত্রীয়ের আয় হয়ে থাকে, উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন পুরুষেরা।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে যে সমস্ত পুরুষ অর্থনৈতিক ভাবে পুরোপুরি নিজের স্ত্রীয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শারীরিক সমস্যাও দেখা যায় এই সব পুরুষদের মধ্যে । দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলেছে সমীক্ষা। নিজেকে অপরের থেকে ছোট ভাবা একটি মারাত্নক মানসিক সমস্যা যা পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রীয় জীবনে বিপর্যয় আনতে পারে।
নিজের হীনমন্যতা অন্যের জন্য ক্ষতিকর . হীনমন্যতা একটি সাময়িক ও পরিস্থিতিগত উপসর্গ। আমরা সবাই ক্ষেত্র বিশেষে কম বেশী এই হীনমন্যতায় ভুগে থাকি।