সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে । বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার বলে গণ্য করা হয় । সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে ৫০০০ রান আর ২৫০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বটা সাকিবের দখলেই ছিল। আর সাউদাম্পটনে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের একম্যাচে হাফসেঞ্চুরি আর ৫ উইকেট নেয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকে। আরেকটি বিষয় হলো, বিশ্বকাপে অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের পরিসংখ্যানের হিসেব করলে কাগজে-কলমে এখন বলাই যায় যে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
কারণ বিশ্বকাপে এক হাজার রান করা এবং ৩০ উইকেট নেয়া একমাত্র ক্রিকেটার তিনিই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সময়ে ৬ হাজার রান আর ২৫০ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটিও দখল করেন সাকিব
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মাইক হাসি বলেছেন, “সাকিব আল হাসান এখন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় চলে এসেছেন। এই বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।”
“কেউ অস্বীকার বা দ্বিমত করতে পারবে না যে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার সাকিব।”
ভিভিএস লাকশমান তার টুইটারে লিখেছেন, সাকিব যেভাবে কাজ করেন সেটা আমি ভালোবাসি, এতো পাওয়ার পরেও বিনয়ী ও ভদ্র একজন ক্রিকেটার।
লাকশমান তার টুইটে সাকিবকে ‘রোল মডেল’ আখ্যা দিয়েছেন।
সাকিব বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পূর্ণ নাম | সাকিব আল হাসান |
---|---|
জন্ম | ২৪ মার্চ ১৯৮৭ (বয়স ৩২) মাগুরা, খুলনা, বাংলাদেশ |
ডাকনাম | সাকিব |
উচ্চতা | ৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) |
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি |
বোলিংয়ের ধরন | স্লো বামহাতি অর্থোডক্স |
ভূমিকা | অলরাউন্ডার |
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৬) | ১৮ মে ২০০৭ বনাম ভারত |
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮১) | ৬ আগস্ট ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে |
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১১) | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে |
সাকিবের অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া বা দল নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন, আলোচনা ও সমালোচনা থাকলেও একমাত্র সাকিব আল হাসানের দলে জায়গা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি।
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান যে পরিস্কারভাবে এগিয়ে রয়েছেন, তা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি এবং ৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন।
ব্যাটে ও বলে তিনি পারফর্ম করে যান নিয়মিত।