কোভিড-19 বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সারাবিশ্বের অনেক দেশে এখনো লকডাউন পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। ক্রিকেটের মাঠেও এই লকডাউন বিরাজমান। করোনাকালে ক্রিকেট অঙ্গনে একটি প্রশ্নই বোধহয় উচ্চারিত হয়েছে বেশি, তা হলো টি – টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না আইপিএল ?
করোনার জন্য নির্ধারিত সময়ে আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে পারেনি আর সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া সরকার স্টেডিয়ামে সীমিত আকারে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিশ্বকাপের পালে হাওয়া লেগেছে। যদিও বিশ্বকাপ শেষ পর্যন্ত হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আইসিসি নেবে আগামী মাসে। তবে বিশ্বকাপ না হলে সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কায় আইপিএলের ভবিষ্যত দেখছেন সুনীল গাভাস্কার।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভাষ্যমতে আগামী মাস থেকেই খেলাধুলার ভেন্যুগুলোতে ২৫ ভাগ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। স্পষ্টত এতেই অক্টোবর – নভেম্বরে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
বিশ্বকাপ না হলে সে সময়ে আইপিএল শুরু করার মত দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু বিশ্বকাপের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হওয়ায় সে সময়ে আইপিএলের ভবিষ্যত দেখছেন না ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আইসিসি যদি বিশ্বাস করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে, তাহলে আইপিএল হওয়াটা কঠিন। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হলেই শুধু সম্ভব ছিল সেটি আয়োজন করা। কিন্তু (অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর) এই ঘোষণার পর অক্টোবরে আইপিএল হওয়াটা কঠিনই মনে হচ্ছে।’
অক্টোবরে বিশ্বকাপ। আবার এর আগে সেপ্টেম্বরেও ভারতে আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয়। সে সময় যে ভারতে বর্ষার মৌসুম। সে ক্ষেত্রে অবশ্য অর্থের বান ডাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির একটা সম্ভাব্য রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছেন গাভাস্কার, ‘বর্ষা মৌসুমের জন্য সেপ্টেম্বরে ভারতে আইপিএল সম্ভব নয়। তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে শ্রীলঙ্কায় টুর্নামেন্টটা হতে পারে। তখন দুটি দল (গ্রুপ পর্বে) পরস্পরের সঙ্গে দুটি ম্যাচ না খেলে একটি করে খেলতে পারে।
তবে মজার ব্যপার হলো, এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা আইপিএল আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করার খবরও বেরিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।