ভারত আমেরিকা প্রতিরক্ষা চুক্তি ও তার প্রভাব

ঐতিহাসিক ভাবে ভারত ও রাশিয়া মিত্র রাষ্ট্র হলেও ভারত এখন আমেরিকার সাথে মিত্রতা স্থাপন করতে চাইছে । ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়

ভারত ও আমেরিকা যাতে পরস্পরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রসদ ভরার ও মেরামতির জন্য মানে যুদ্ধের জন্য   তাদের  ভূখণ্ড পায়  , তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে  আমেরিকা খুব তারা তারি পাকিস্তানকে ডিভোর্স দিতে পাড়ে ।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে এ এক অবিস্মরণীয় পালাবদল। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এখন একটা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, এবং আমেরিকার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমরা শুধু আমাদের দীর্ঘকালের ও ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশগুলোর সঙ্গেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।’’

কিন্তু ভারতের পুরাতন দোস্ত রাশিয়া এতে ক্ষেপেছে এবং এর পরবর্তীতে রাশিয়া কি  ব্যাবস্থা নেবে তা এখন সময়ের ব্যাপার ।

 ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী  বলছিলেন, “আমরা এতদিন নন-অ্যালাইনড বা নিরপেক্ষ ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে আর নিরপেক্ষ থাকতে পারছি না, বরং আমেরিকার সাথে অ্যালাইনড হয়েছি – এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে সেটাই মেনে নিলাম।’’

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার ও তাঁর ভারতীয় কাউন্টারপার্ট মনোহর পারিক্কর পেন্টাগনে যে সমঝোতায় সই করেন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও চুক্তি আগে কখনও হয়নি।

আমেরিকা পাকিস্তান বিবাহ বিচ্ছেদের এই করুন পরিনতিতে ভারত কৌশলগত দিকদিয়ে লাভবান হবে বলেই বোঝা যাচ্ছে ।