বাংলাদেশের নামকরনের ইতিহাস অন্তত পাচ হাজার বৎসরের পুরনো । ১৯৭১ সালে একটি স্বাধিন আধুনিক দেশ হিসাবে আত্বপ্রকাশ করার পূর্বে থেকই এই বাংলা বা বাঙ্গালিদের রাষ্ট্র জাতী রাষ্ট্র হিসাবে প্রাচীন ইতিহাসে স্থান করে আছে । “বাংলা” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে শব্দ “বঙ্গ” থেকে । এই নিবন্ধে প্রথমে প্রাচীন বাংলা শব্দের উৎপত্তি দ্বিতীয়তে বাংলাদেশ নামের উৎপত্তি নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে । এই নামকরনের ইতিহাস বাঙ্গালী জাতীর হাজার বৎসরের ঐশ্বর্যের গল্প ।
বাংলা বা বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি
বাংলা বা বঙ্গ রাজ্যের প্রমান পাওয়া যায় আদি বৈদিক ও সংস্কৃত লেখনিতে । প্রাচীন গ্রীক ও রোমান ভাষায় এই বাংলা বা বংকে গঙ্গারিডই নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ বা ইসা নবীর জন্মের ১৫০০ বৎসর আগে ” ভঙ্গ বা বঙ্গ রাজ্য ” প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । পৌরাণিক মতে রাজা বালি র তিন পুত্র
১) অঙ্গ ,( পশ্চিমবঙ্গ , খুলনা , বরিশাল অঞ্চল )
২)বঙ্গ ( ঢাকা , ময়মন্সিহ , ত্রিপুরা অঞ্চল )
৩)পুন্ড্র ( উত্তরবঙ্গ , আসাম অঞ্চল ) শাসন করতেন । এর ও হাজার বৎসর পড়ে ১৭০০ সালে ও বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলাও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম অঞ্চলের একীভূত রাস্ট্রের নাম দিয়েছিলেন “বঙ্গ” । ১৩৩৬ থেকে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে এই রাস্ট্রের নাম ছিল বাঙাল বা বাঙালাহ ।
অতিত ও বর্তমানে ভিনদেশি ও ভারতীয় ইতিহাসবিদরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাংলা ও বাঙ্গালির ইতিহাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করে আসছে । প্রাচীন বাংলা ছিল ভারত থেকে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে আলাদা । প্রমত্তা গঙ্গা / পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র ও নদীমাতৃক অবস্থানের কারনে ভারত থেকে আলাদা ও ক্ষমতাশালি ছিল প্রাচীন বাংলা ।
আধুনিক “বাংলাদেশ ” নামের উৎপত্তি
১৭৫৭ সালে ব্রিটিশরা বাংলা দখল করে নিলে এর নাম দেওয়া হয় ” বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী ” । ১৯০৫ সালে বাঙ্গালিদের স্বাধিনতা সংগ্রাম দুর্বল করতে এক বাংলা ভাগ করে নাম দেওয়া হয় “পূর্ব বঙ্গ ” ও পশ্চিম বঙ্গ ” । বাংলা , বাংলার দেশ বা বাংলাদেশা উপমাটি অনেক আগে থেকেই লোককথায় বাঙ্গালি ও অবাঙ্গালীদের মাঝে এই অঞ্চলকে বোঝাতে ব্যাবহার হয়ে এসেছে ।
১৯৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সারোয়ারদি ব্রিটিশদের কাছে পশ্চিম বঙ্গ থেকে শুরুকরে আসাম সহ সমগ্র বাংলা একটি স্বাধিন রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধিনতা দেবার দাবি করেন । মূলত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাঙ্গালিদের রক্তক্ষয়ি সংগ্রাম ও নেতাজি সুভাশ চন্দ্র বসুর বিপ্লবী সংগ্রামের শাস্তি স্বরূপ সিরাজউদ্দলার এক বাংলাকে ভাগ করে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে তুলে দেওয়া হয় ।
১৯৫৭ সালে পাকিস্তান সরকার পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করলে – এই রাস্ট্রের একটি রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যাপারে মানুষ সচেতন হয়ে উঠে । ১৯৫৭ সালে করাচীতে পাকিস্তানের সংসদে তরুণ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান এর কঠোর বিরোধিতা করেন । “পূর্ব পাকিস্তান” নামটির প্রতিবাদ করে বলেন যে, পূর্ব বাংলা নামের একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে।
এরপর ১৯৬৯ সালে আইয়ুব এর পতন আন্দলনে মিছিলের স্লোগানে ও পোস্টারে
“বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।”
স্লোগান সর্বস্তরের দেওয়া হয় । মূলত ১৯৬৯ সাল থেকেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে রাস্ট্রের নাম বাংলাদেশ হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে । ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তৎকালীন নেতারা বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করেন । যেমন ” স্বাধীন পূর্ব বাংলা ” বাংলা , বেঙ্গল , ইস্ট বেঙ্গল , বঙ্গ , বঙ্গ দেশ ,ও বাংলাদেশ ” । এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অধিকাংশ নেতাকর্মী ” বাংলাদেশ ” নামের পক্ষে রায় দেন ।
এর পর থেকে কাগজে পত্রে পূর্ব পাকিস্তান লিখতে হলেও কেউ মুখে পূর্ব পাকিস্তান উচ্চারণ করতেন না। সবাই বলতেন বাংলাদেশ। এরপর অফিসিয়ালভাবে ২৬ মার্চে স্বাধিনতার ঘোষণায় ” বাংলাদেশ ” নামটি ব্যাবহার করা হয় । বঙ্গবন্ধুর ই পি আর এর বেতার বার্তা ও পরবর্তীতে কালুরঘাট থেকে প্রচারিত স্বাধিনতার ঘোষণায় স্বাধিন দেশের নাম বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয় ।
বাংলাদেশ নামটি কোন ব্যাক্তি বা রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে বাংলা শব্দভাণ্ডারে আসেনি । এটি হাজার বৎসরের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠত্বের নাম ।
বাংলাদেশের নামকরণের ইতিহাস?
১৯৬৯ সাল থেকেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে রাস্ট্রের নাম বাংলাদেশ হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে । ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তৎকালীন নেতারা বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করেন । যেমন ” স্বাধীন পূর্ব বাংলা ” বাংলা , বেঙ্গল , ইস্ট বেঙ্গল , বঙ্গ , বঙ্গ দেশ ,ও বাংলাদেশ ” । এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অধিকাংশ নেতাকর্মী ” বাংলাদেশ ” নামের পক্ষে রায় দেন ।এর পর থেকে কাগজে পত্রে পূর্ব পাকিস্তান লিখতে হলেও কেউ মুখে পূর্ব পাকিস্তান উচ্চারণ করতেন না। সবাই বলতেন বাংলাদেশ। এরপর অফিসিয়ালভাবে ২৬ মার্চে স্বাধিনতার ঘোষণায় ” বাংলাদেশ ” নামটি ব্যাবহার করা হয় । বঙ্গবন্ধুর ই পি আর এর বেতার বার্তা ও পরবর্তীতে কালুরঘাট থেকে প্রচারিত স্বাধিনতার ঘোষণায় স্বাধিন দেশের নাম বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয় । বাংলাদেশ নামটি কোন ব্যাক্তি বা রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে বাংলা শব্দভাণ্ডারে আসেনি । এটি হাজার বৎসরের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠত্বের নাম ।
বাংলাদেশের ইতিহাস |
বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫-১৯৭১ |
বাংলাদেশ নামকরণ করেন কে কখন |
বাংলাদেশের নামকরণ করেন কে কখন |
বাংলাদেশের নাম করন করা হয় কত সালে |
বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯৪৭-১৯৭১ |
পূর্ব পাকিস্তানের নাম বাংলাদেশ হয় কত তারিখে |