র‍্যাবের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ।April 2016

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এক গৌরব উজ্জ্বল প্রতীকের নাম র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন ( র‍্যাব ) । বিগত অনেক গুলো বৎসর পেড়িয়ে আজো দিনের শেষে সাধারন জনগনের ভরসার শেষ নাম তড়াই ।

শুরু থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার রা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক হিসাবে র‍্যাবের সবগুলো ইউনিটে সারদেশে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । যার ফলে এলিট এ বাহিনীতে রয়েছে শৃঙ্খলা ও ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি ।

সাম্রতিক দেশে নেশাদ্রব্যের চরম সহজলভ্যতা শুরু হোলে র‍্যাব সকল প্রকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । বিগত এক বৎসরে র‍্যাবের হাতে গোনা কিছু বিপিথ গামী সদস্যদের কারনে র‍্যাব ইমেজ সঙ্কটে পড়লেও র‍্যাব অচিরেই তার হারানো গৌরব ফিরে পেয়েছে । দেশের তরুন সমাজ কে ভয়াভয় ইয়াবা ও সকল মাদকের র হাত থেকে রক্ষা করতে র‍্যাবের বিভিন্ন অভিযানে ভেঙ্গে পড়েছে মাদক চক্র দের হাত । এতে সকল সন্ত্রাসী ও ত্রাশ সৃষ্টিকারীরা আছে আতঙ্কে । মাদকের সম্পূর্ণ চক্রটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । মাদক দ্রব্যের ব্যাবসাই অপরাধীদের আয়ের একমাত্র প্রধান উৎস ।

২০১৬ সুরু থেকেই র‍্যাবের অভিযানে ব্যাপক পরিমানে মাদক দ্রব্য ও সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সহ ধরা হয়েছে ।

rapid-action-battalion-Rab-

প্রতিষ্ঠার পর হতেই র‌্যাব সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকাসহ অন্যান্য অপরাধীদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ÿÿত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। যে কোন অপরাধ সংঘটনের সাথে সাথে র‌্যাব উদ্ভুত পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারীর মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব সর্বাত্মকভাবে কাজ করে চলেছে।

 

র‌্যাব প্রতিষ্ঠা হতে অদ্যাবধি ১২,৪৮২টি বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র, ১,৮১,৩৯৫ রাউন্ড গোলাবারম্নদ, ১৮,৩৯২টি ককটেল/গ্রেনেড এবং ৫,৪৬০.৬৭৯ কেজি বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

2016 চার মাসের মধ্যে বেশ কিছু সাফল্য জনক অপারেশন ঃ

র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। এ চক্রকে প্রতিহত করার লÿÿ্য র‌্যাব চক্রটির গতিবিধির উপর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৩ মার্চ সকাল ০৮১৫ ঘটিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রানীহাটি এলাকায় অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের গতিবিধি পর্যবেÿণের মাধ্যমে তাদের চলাচল পথে ফাঁদ তৈরী করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল অতিক্রমের সময় অস্ত্রের চালান সহ অস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন (৫০), তার কাছে রÿÿত ০৮ টি ৭.৬৫ মিঃমিঃ বিদেশী পিসত্মল (০৫ টি জাপানী, ০৩ টি ইউ.এস.এ), ১৬ টি ম্যাগাজিন, ১৪০ রাউন্ড পিসত্মলের গুলি, ০১টি বাই সাইকেল ও ০১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গিবাদ ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে দÿতার সাথে কাজ করে আসছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীসহ অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।

গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি ২০১৬ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮৩০ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ আনোয়ার হোসেন (৫২)’কে আসামী মোঃ রওশন জামান শরীফ @ মজনু @ মোসত্মফা শরীফ (৩২) ব্যবসায়িক প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানধীন শিকদার বাজার সংলগ্ন নির্জন একটি ইট ভাটায় ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ভিকটিম মোঃ আনোয়ার হোসেন (৫২)’কে হত্যা করে এবং তার কাছে রক্ষিত ৩৩,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়। উক্ত হত্যাকা– বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা রজ্জু করা হয় যার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৩/২০১৬, ধারা-৩৬৪/৩০২/৩৪/২০১ দঃ বিঃ। এ হত্যাকান্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং হত্যাকান্ডের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ রওশন জামান শরীফ @ মজনু @ মোসত্মফা শরীফ (৩২) পলাতক ছিল। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব-৫ বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ রওশন জামান শরীফ @ মজনু @ মোসত্মফা শরীফ (৩২), নাটোর জেলার সদর থানাধীন রেলষ্টেশন এলাকায় অবস্থান করছে। এরূপ সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল দ্রম্নত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অদ্য ১৪ মার্চ ২০১৬ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকায় তাকে গ্রেফতার করে। উলেস্নখ্য যে, আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখ আনুমানিক ১১০৫ ঘটিকায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল গেইটের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ব্যবসায়ী (১) মোঃ আমজাদ হোসেন বাবু (৩২), পিতা- ইউনুছ আলী, সাং-ডহরজানি, থানা- সাথিয়া, জেলা-পাবনা (২) মোঃ দুলাল (৩৫), ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০৩ রাউন্ড গুলি ০২টি ম্যাগাজিনসহ, গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার করে আসছে।