বাংলাদেশ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব এবং পরবর্তী সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্ধু দেশ জাপান এর সাংসদ আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিলের অনুমোদন দিয়েছে।
এই সহায়তা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী বন্ধু দেশটি। বুধবার বিকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ তথ্য জানান। দুই নেতার ফোনালাপ প্রায় ২৫ মিনিট দীর্ঘস্থায়ী ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান: দু’নেতা টেলিফোনে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং দু’দেশের কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে একে অপরকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং এর চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ফোনালাপের এক পর্যায়ে জাপান সরকার থেকে বাংলাদেশকে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধক ইকুইপমেন্টস- পিপিই, মাস্ক, গাউন, গগলস ইত্যাদি দেওয়ায় শিনজো অ্যাবেকে শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানান।
মূল আলোচনায় দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়গুলো উঠে আসে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
তিনি জানান: জাপান সরকারের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে দু’নেতা আলোচনা করেন। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরো জাপানী বিনিয়োগের জন্য শেখ হাসিনা জাপানী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তিনি চলমান রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে শিনজো অ্যাবেকে অবহিত করেন এবং এ সংকট উত্তোরণে জাপান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। শিনজো অ্যাবে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।
দু’নেতার কথোপকথনের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাতিল হওয়া ‘২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক’ ২০২১ সালে জাপানে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।