ইয়াবা পাচারে দিন দিন রোহিঙ্গাদের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আর্থিক দূর অবস্থার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর মাদক চোরাকারবারি তাদেরকে মাদক পাচারে ভাড়া করে ব্যবহার করছে। শারীরিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কেবল জীবিকার তাগিদে তারা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনের কাজ করছে । পলিথিনের প্যাকেটে ইয়াবা ভরে তা সেবন করার পর এক ধরণের সিরাপ খাওয়ানো হয়। ঢাকায় এসে আরেক ধরনের সিরাপ খাওয়ালে ওই প্যাকেটগুলো মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসে বলে জানায় তারা । এবার পাকস্থলিতে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে ইয়াবার চালান। মৃত্যু কে তোয়াক্কা না করে টাকার জন্য এ বিপজ্জনক পন্থায় জড়িয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
ইয়াবা আসছে এখন পাকস্থলী দিয়ে – বের হচ্ছে টয়লেট থেকে
পাকস্থলী দিয়ে আসছে ইয়াবা – বের হচ্ছে টয়লেটে
শুক্রবার একদিনেই টেকনাফ সীমান্তে ১৩ জন রোহিঙ্গার পেট থেকে বের করা হয়েছে ৪৩ হাজার ইয়াবা। এসব ইয়াবা বহনকারী রোহিঙ্গারা এক ট্রিপে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাফনদের ওপার থেকে এপাড়ে পেটে করে পাচার করছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সাগরকলার ভিতরে ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেটের এক একটি প্যাকেট পানির মাধ্যমে গিলে পাকস্থলীতে ধারণ করে কক্সবাজার হতে বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকায় আনতো। ঢাকায় আনার পর তারা খোলা স্থানে মলত্যাগ করে পেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বের করতো। তারপর ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতো।