বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক চুক্তিঃ এক নতুন মাইলফলক

সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২০১৯  সালে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবসায় চুক্তি গুলো বাংলাদেশ সৌদি আরব সম্পর্ক নতুন স্থানে নিয়ে গেছে ।এর আগেও বাংলাদেশের কাছ থেকে সামরিক চুক্তি সম্পাদিত সম্পাদনা  করতে চাইলেও বাংলাদেশ ততটা আগ্রহ দেখায়নি । এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব বাংলাদেশের প্রায় 20 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে , লালমনিরহাটে তৈরি হবে বাংলাদেশ প্রথম বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও তৈরীর কারখানা আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ান সৈন্য সৌদি আরবে মোতায়েন করা হবে ।

মানচিত্র Bangladesh এবং Saudi Arabia অবস্থান নির্দেশ করছে

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফর করলে রিয়াদের সাথে থাকার প্রতিরক্ষা শিল্প বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৫ টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ।  এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর প্রধান ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরব সফর করেন এবং একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় । এই সামরিক চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব যে কোন যুদ্ধ বাংলাদেশের সম্পুর্ন সমর্থন পাবে এবং প্রয়োজনে সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সৌদি আরবের মোতায়েন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে , তার সাথে বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন দুর্লভ সামরিক সরঞ্জাম পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সৈন্য

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের সৈন্য

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান আল সাউদ

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান আল সাউদ এর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের এই অভূতপূর্ব নতুন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । সৌদি আরবে বাংলাদেশি বাংলাদেশের প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষ কাজ করে ।

লালমনিরহাটে বিমান রক্ষনাবেক্ষন ও তৈরির কারখানা স্থাপন

বাংলাদেশ প্রথম কোনো বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ,  মেরামত ও তৈরির কারখানা তৈরির উদ্দেশ্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে  সৌদি আরব সম্মত হয়েছে ।সাধারণত বিমান রক্ষণাবেক্ষণ বা তৈরি করার টেকনোলজি কোন দেশ অন্য কোন দেশকে প্রদান করে না বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবসায় কারণে . বাংলাদেশে সাথে সৌদি সম্পর্কে সৌদি আরব যে অ্যারোস্পেস টেকনোলজি শেয়ার করবে যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।

এর আওতায় সৌদি আরবের সরকার ও  বিশ্ব বিখ্যাত বোইং এর মালিকানাধীন আল সালাম অ্যারোস্পেস কোম্পানি লালমনিরহাট বিমানবন্দর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাথে একটি অ্যারোস্পেস কারখানা প্রতিষ্ঠা করবে   । এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে সল্প পড়িসরে বাংলাদেশ হেলিকপ্টার কিংবা যুদ্ধ বিমান তৈরির দিকে এগিয়ে যাবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সৌদি আরব সফর করেন এবং সেখানে তাকে কিং আব্দুল আজিজ মেডেল প্রদান করা হয় এবং এতে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি কথা বলা হয় ।

এরপর পরবর্তীতে 7 ই মার্চ বাংলাদেশের প্রথম কোন হাইপ্রোফাইল সৌদি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ অন্য রকমের বিনিয়োগ চুক্তি সম্পাদিত করে ।  এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব বাংলাদেশের প্রায় 20 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এর আগে 14 ই ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ সৌদি আরবে প্রায়  দুই ব্যাটালিয়ন সেনা বাহিনীর সদস্যদের মোতাহারের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ।

৭ মার্চ সৌদি আরব দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীসহ ৫২ সদস্যের শক্তিশালী একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ চুক্তি করার জন্য । সৌদি বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল-কাসাবি ও অর্থনীতি, পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন মাজেদ আলওইজরি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরে বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের অধীনে, যিনি এমবিএস নামে পরিচিত, সৌদি আরবের রক্ষণশীল কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে।হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও বিনিয়োগের ভালো স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে আমি মনে করি, বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ করার জন্য এটিও সৌদি আরবকে উদ্দীপ্ত করেছে ”

  • বাংলাদেশ সৌদি আরব বাণিজ্যিক সম্পর্ক
  • বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব কত
  • সৌদি আরবের জনসংখ্যা
  • সৌদি আরবের বর্তমান অবস্থা ২০১৮
  • সৌদি আরবের আইন
  • সৌদি আরবের বেতন
  • সৌদি আরব মানচিত্র
  • আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাস