বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাংক বন্ড প্রদানের মাধ্যমে, আরো ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ।
এ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি কমপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলারের জন্য একটি শক্তির শক্ত বন্ধন করার চেষ্টা করছি।”
“আমরা সেখানে দুটি জিনিস পেতে পারব: একটি বিনিয়োগ গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ অর্থ ও ব্র্যান্ডিং। আমি যদি ২ বিলিয়ন ডলারের জোগাতে সফল হই, তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের যা দরকার তার জন্য একটি ছোট পরিমাণ অর্থ হলেও সারা বিশ্ব বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। “
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেছেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তহবিল সংগ্রহের জন্য শীঘ্রই ১ বিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে।
মন্ত্রী হামিদ বলেন, সৌভাগ্যক্রমে আমাদের দেশ এই খাতে আয় নিশ্চিত করছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তা ফেরত দিচ্ছে। বর্তমানে এই সেক্টরের প্রতিটি কোম্পানী ভাল অবস্থানে আছে, তাই সরকার চাইছে কোম্পানী গুলোকে আরো ব্যাংকযোগ্য করতে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রের সন্ধানে সরকার অনেক আগে থেকেই অনুসন্ধান শুরু করেছে এর ফলে বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম হ্রাসে বিলম্বিত হয়েছে।
মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস যে, অফশোর ব্লকগুলি আবিষ্কার করে তা বাণিজ্যিকভাবে অ-কার্যকর ছিল। সুতরাং গভীর সাগরের বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং।
আরও যোগ করেছেন যে, জাতীয় গ্রিডের প্রায় অর্ধেক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান শেভ্রন বিগত ১ বছর আগে সরকারকে অবহিত করেছিল যে তারা আর এই দেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইছে না। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন রুপ, এই শেভ্রন এখন ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চাইছে।
“পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সেক্টর: অবিলম্বে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সংলাপটি পরিচালনা করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
উক্ত সংলাপে মন্ত্রী হামিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি এর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীত করা সহ জ্বালানি সেক্টরে ৭১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ৬০,০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।