প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে জানার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একজন বিশেষ দূত ভারতে পাঠানো হচ্ছে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, বিষয়টিতে ভারতের পদক্ষেপের ব্যাপারে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা চেয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পে ভারতের পরবর্তী যে কোন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে পরামর্শের দাবি জানিয়েছে।
ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে যেকোন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ যেন করা হয়- এই বিষয়টিতেই বাংলাদেশ এখন জোর দিচ্ছে।
মিজারুল কায়েস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব
” ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে যেকোন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ যেন করা হয়- এই বিষয়টিতেই বাংলাদেশ এখন জোর দিচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তা জানানোও হয়েছে।” বলেন মিজারুল কায়েস।
বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতে সম্প্রতি একটি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে ভারত তাদের বিনিয়োগ চুক্তি সই করার মাসখানেক পর তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে গত ১৮ই নভেম্বর।
সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পটভূমিতে বাংলাদেশে এ নিয়ে গত কয়েকদিন নানা বিতর্কের পর গতকাল (মঙ্গলবার) প্রথমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক টিপাইমুখ নিয়ে একটি লিখিত বিৃবতি জারি করে। এর পরপরই গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও একটি লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়।
সব প্রশ্নেই পররাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে এসেছে সতর্ক জবাব।
” আলোচনার সব বিষয় সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এর সাথে ব্যর্থতার বিষয় সম্পৃক্ত নয়।” এ ছিল পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য।
প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে ভারতের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি যেমন এসেছে, অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের দীর্ঘদিন পরও তিস্তা নদীর পানি বন্টন প্রশ্নে চুক্তি হয়নি। এই ইস্যুগুলো নিয়ে বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে পারে কী না, এমন প্রশ্নও তুলেছিলেন সাংবাদিকরা।
পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুগুলোর সমাধান হবে বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি সচেতন রয়েছে।
শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন টিপাইমুখ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের একজন বিশেষ দূত শিগগিরি ভারতে যাবেন।
Leave a Reply