সৌদি জাহাজে হামলা – ১৩ মে
চলতি মাসের শুরুর দিকে আমিরাতে সৌদি ট্যাঙ্কারে হামলায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে একটি রকেট হামলায়ও ইরানকে অভিযুক্ত করে আমেরিকা । সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন,ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি ওই হামলায় জাহাজগুলোর ‘অনেক’ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরব বিশ্বকে এক হতে বললেন – সৌদি রাজা -৩১ মে
আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র মক্কা নগরীতে শুরু হওয়া ও আই সির সম্মেলনের শুরুতেই সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, এ অঞ্চলে ইরান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে দৃঢ় ও কার্যকর প্রতিক্রিয়ার অভাবে দেশটি ক্রমাগত সহিংসতায় উৎসাহিত হচ্ছে এবং নিজেদের শক্তিশালী করছে বলে মন্ত্যব্য করেন
।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, আমেরিকার ৭৬ সাবেক জেনারেলের চিঠি
দেশটির সাবেক সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়াতে সতর্ক করেছেন। ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে লেখা দেশটির ৭৬ জেনারেল, অ্যাডমিরাল এবং অ্যাম্বাসেডর স্বাক্ষরিত ওই খোলা চিঠিটিতে বলা হয়েছে, আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের বর্তমান শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য আমরা আপনাকে লিখছি । উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগের অভাবের কারণে উত্তেজনাকর একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা কেবল ভুল বোঝাবুঝি থেকে বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রচলিত সামরিক দ্বন্দ্বের দেখা দেয়। যা থেকে ক্ষেত্র বিশেষ শুধু ক্ষতিই আশা করা যায়।
ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘মিথ্যা’: রাশিয়া
রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জন বলেন, ‘আমরা বহুবার দেখেছি যেকোন বিষয়কে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে এবং তাদের মতো করে বিশ্লেষণ করে বিশ্ববাসীকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের জন্য ইরান ও সৌদি আরব এক ধরনের প্রক্সি ওয়ার (সরাসরি যুদ্ধ না করে অন্যকে সহায়তার মাধ্যমে যুদ্ধ) চালাচ্ছে। সৌদি আরব এবং ইরান পরস্পরকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য দায়ী করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থান তার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। সম্প্রতি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইরান শিয়া মতবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে ইসলামী বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।