বাংলাদেশে ৩৬৫ দিনের মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকে ২৩০ দিন !

প্রাইমারি , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর বছরে প্রায় ১৩৭ টি সরকারি ছুটি থাকে এর মধ্যে 85 দিন থাকে সাধারণ বিভিন্ন সরকারি ছুটি ও 52 দিন থাকে শুক্রবার।আর যেসব স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা গুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় তারা আরো 40 থেকে 50 দিন অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় 30 হাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা রয়েছে গত বছরের মধ্যে প্রায় 3 হাজার 412 টি স্কুল ও মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে 400 টি স্কুল ও মাদ্রাসায় তিনটি পরীক্ষাই হয়ে থাকে যার মানে বছরে 365 দিনের মধ্যে দুশো ত্রিশ এই স্কুল কলেজ গুলো বন্ধ থাকে।

আমেরিকা ও লন্ডনের স্কুল কলেজগুলোতে বৎসরে নিম্ন পক্ষে 180 দিন স্কুল কলেজ গুলো চালু থাকে এবং দৈনিক নিম্ন পক্ষে 6 ঘন্টা ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে থাকতে হয় । কিংবা 1170 ঘন্টা হিসেবে ও বৎসরের ভাগ করা হয়ে থাকে।

জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের উপদেষ্টা প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান ডেইলি স্টার কে বলেন ছাত্র রা এত বন্ধের কারণে প্রাইভেট টিউশন এবং কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভর করতে হয়, বেশিরভাগ স্কুল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা অভিযোগ করেন যে এই সকল ছুটির কারণে তারা সিলেবাস কমপ্লিট করতে পারেন না।শুধু সরকারি ছুটি ও নয় বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় বন্যা কিংবা যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ও স্কুল কলেজ গুলো বন্ধ থাকে।

স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা

মূলত বছর জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা ও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে এই পৃথক পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে পাবলিক ও নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ক্লাস যাতে বন্ধ না থাকে, সেই লক্ষে প্রত্যেক উপজেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র, স্থাপন করা হচ্ছে। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি’র মতো তিনটি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় পৌণে দুই মাসই স্বাভাবিক পাঠদান বন্ধ থাকে ।