আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ বাংলাদেশকে উন্নত প্রযুক্তির মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা বা ড্রোন বিষয়ক সক্ষমতা অর্জনের জন্য সহায়তা প্রদান করবে, যেন বাংলাদেশ এই সক্ষমতা অর্জনের পর পরবর্তী সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ড্রোন প্রযুক্তিতে সক্ষমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে ন্যূনতম ১৩ মিলিয়ন ডলার এর সহয়তা প্রদান করব, যা তাদের পরবর্তী সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে এবং এই ড্রোন পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব ঘাঁটি রয়েছে। তাদের সবচেয়ে ব্যবহৃত ড্রোন এমকিউ-1 এ / বি প্রাইডেটর এবং এমকিউ-1 সি গ্রে ঈগল উভয় ইউনিটের দাম ২0 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।
যেহেতু তারা বাংলাদেশকে ১৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করছে, তাই বাংলাদেশের ড্রোন ক্রয় এর ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দী হিসাবে আমেরিকান স্ক্যান ঈগল আই দাম,মান ও কর্মক্ষমতার দিক দিয়ে নিজ সক্ষমতায় এগিয়ে রয়েছে।
এই স্ক্যান ঈগল ড্রোনটি গ্রাউন্ড সিস্টেম সহ ৪ টি ড্রোন একত্রে ক্রয় করতে খরচ হয় ৩.২ মিলিয়ন ডলার। এই ড্রোনটি লাইটওয়েট অ্যান্টিয়ারিয়াল স্টেবিলাইজড বুর্জ সিস্টেমের উপর পরিচালিত হয় এবং এটি ইনফ্রারেড ক্যামেরা বহন করে। এই স্ক্যান ঈগল ড্রোনটি ৬২ মাইল (১০০ কিলোমিটার) এর বেশি পরিসীমার মধ্যে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে সক্ষম। সেই সাথে এই ড্রোনটি এক নাগাড়ে ২০ ঘণ্টা উড়তে পারে।
এটির রয়েছে ১০.২ ফুট (৩.১ মিটার) উইংসপ্যান্ট এবং এটি লম্বায় ৪.৫ ফিট (১.৪ মিটার)। ওজনের দিক দিয়ে এটির ভর ৪৪ পাউন্ড(২০ কেজি), সেই সাথে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এটিকে প্রায় ৯২ মাইল বা ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২৯ শে মার্চ এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর ড্রোন কে কার্যকরভাবে ব্যবহারে দক্ষতা লাভের জন্য জাতিসংঘ ও বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।