বিগত ২৫ জুনে রাতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় বরখাস্ত হন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় আর এই মামলায় সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি মিজানুর রহমান জামিন আবেদন করলে তা খারিজ করে তাকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ডিআইজি মিজান।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
বিগত ২৪ শে জুন দুদক পরিচালক মনজুর মোরশেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে করেন।
মামলার পর দুদক টিমের পক্ষ থেকে ডিআইজি মিজানসহ চার আসামির বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। এর পর পরই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।