imac aluminum on table

কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ঃ দ্বিতীয় অধ্যায়

প্রত্যেকে একটি করে পাসওয়ার্ড 4Score&7yrsAGO (Four score and seven years ago তৈরি করে উপস্থাপন কর।
From the Gettysburg Address), ইত্যাদি। তবে পাসওয়ার্ড অবশ্যই মনে রাখার মত হওয়া উচিত। প্রায়শ পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করাও একটি জরুরি কাজ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের তথ্য ও সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ও গােপনীয়তা রক্ষা করতে সক্ষম হব।
ওয়েবে নিরাপদ থাকা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ব্যক্তিগতভাবে মােবাইল, ৫ কম্পিউটারের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি ইন্টারনেট বা অনলাইনের ব্যবহারও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা

i


!
!
যখনই কোনাে কম্পিউটার বা মােবাইল ডিভাইস (ফোন, প্যাড, ট্যাব ইত্যাদি) অনলাইনে যুক্ত থাকে তখনই এর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। সতর্কতা এবং বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই ঝুঁকি কমানাে যায়। একজন অনলাইন ব্যবহারকারী নানান কারণে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। এখানে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ওয়েবে নিরাপদ থাকার বিষয়টি আলােচনা করা হলাে – ক, সাধারণ সাইট : ব্যবহারকারীদের অনেকেই ইয়াহু, হটমেইল বা জিমেইলের মতাে সাধারণ এবং বিনামূল্যের ই-মেইল সেবা ব্যবহার করে থাকেন। এগুলাের প্রতিটি সাইটে একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হ্যাক হলে আমাদের অনেক প্রয়ােজনীয় মেইল হারিয়ে যেতে পারে। আবার ঐ একাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণা বা অনুরূপ কাজ হতে পারে যার দায়-দায়িত্ব ব্যবহারকারীর ওপর বর্তায়। এসব ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সাধারণ সতর্কতাগুলাে মেনে চলা দরকার
সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা – অনেকেই তাদের ই-মেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড হিসাবে নিজের নাম, কীবাের্ডের সহজ বিন্যাস (যেমন qwerty বা asdfg বা ১২৩৪৫৬৯৭৮) ব্যবহার করে। এটি মােটেই সংগত নয়। কারণ ই-মেইলের ক্ষেত্রে ই-মেইল একাউন্ট-ই ব্যবহারকারীর নাম, যা প্রায় সবাই জানে। যে কারণে পাসওয়ার্ডটি যদি সহজ হয় তাহলে যে কেউ মাত্র কয়েকবারের চেষ্টাতেই একাউন্টটি হ্যাক করতে পারবে। এজন্য একটি জটিল বিন্যাস ব্যবহার করা উচিত পাসওয়ার্ড হিসাবে। এবং এতে অক্ষর, সংখ্যা বিশেষ চিহ্ন (!@# ইত্যাদি) ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা : কিছুদিন পর পর ই-মেইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা প্রয়ােজন যেসব ক্ষেত্রে দ্বিমুখী ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলাে ব্যবহার করা। যেমন, মােবাইল ফোনের মাধ্যমে জিমেইল অ্যাকাউন্টটির নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা যায়। এ জন্য জিমেইলের 2 Step
Verificaton অপশনটি ব্যবহার করতে হবে। > প্রােফাইল থেকে অ্যাকাউন্ট সেটিংয়ে যেতে হবে। * 2-step verification এখানে এডিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। ১১ মােবাইলের নম্বরটি দিতে হবে এবং সেন্ড কোড বাটনে ক্লিক করতে হবে। > জিমেইল থেকে মােবাইলে একটি সিকিউরিটি কোড পাঠানাে হবে। সেটি দিয়ে ভেরিফাই
অপশনে ক্লিক করতে হবে। > এরপর 2-step verificationটি অন করতে হবে। এখন কেউ এই অ্যাকাউন্টে অনধিকার প্রবেশ করতে চাইলে তাকে মােবাইল কোডটি পেতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু কোডটি একবার মাত্র ব্যবহার করা যাবে সুতরাং কেউ আগের কোডটি জানতে পারলেও অ্যাকাউন্টটি থাকবে নিরাপদ। একইভাবে ইয়াহু মেইলেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় । সাইবার ক্যাফে বা অনেকেই ব্যবহার করে এমন কোনাে কম্পিউটার থেকে ই-মেইল ব্যবহার করলে, ব্যবহার শেষে অবশ্যই অ্যাকাউন্ট থেকে লগ-আউট করতে হবে। এছাড়া সাধারণ ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু বাড়তি সতর্কতা মেনে চললে নিরাপদ থাকা যায়। অনেক
ওয়েবসাইটে বিশেষ ধরনের প্রােগ্রাম ইনস্টল করা থাকে। ওয়েব ব্রাউজারে কুকিজ চালু থাকলে এসব ও সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর কম্পিউটার ও ব্রাউজারের বিভিন্ন তথ্য অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। এসব ওয়েবসাইট

NE.
E
..
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি


ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা প্রয়ােজন। কোনাে কোনাে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য চায়। বিশেষ প্রয়ােজন না থাকলে এই সকল তথ্য দেওয়ার প্রয়ােজন নাই। খ, সামাজিক সাইট : বর্তমানে অনেকে সামাজিক যােগাযােগ সাইটে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য রেখে দেন। ব্যক্তিগত ছবিও অনেকে শেয়ার করে থাকে। ফলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কেউ জেনে ফেললে তাতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এক্ষেত্রে ই-মেইল সাইটে যে সকল নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মতাে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। এছাড়া সামাজিক যােগাযােগের সাইট ব্যবহারের সময় নিম্নোক্ত সতর্কতা মেনে চলা প্রয়ােজন : ২ কাউকে বন্ধু বানানাের আগে তার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া, বাস্তব জীবনে যে তােমার বন্ধু হওয়ার যােগ্য
নয়, তাকে বন্ধু না করা * অপরিচিত কাউকে বন্ধু বানানাের সময় তার পরিচয় সম্পর্কে সম্যকভাবে নিশ্চিত হওয়া, এজন্য তার প্রােফাইল
| দেখা, পারস্পরিক বন্ধুদের মধ্যে কেউ তােমার পরিচিত কি-না সেসব বিষয় দেখে নিশ্চিত হওয়া প্রয়ােজন; * খুবই ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা; * মােবাইলে ফেসবুক/ই-মেইল ব্যবহার করার পর প্রতিবারই লগআউট করা; * স্কুল, সাইবার ক্যাফেতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পর সাইন আউট করা; * বন্ধুর বা পরিচিত কারাে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা; এবং * কোনাে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনাে ফেসবুক এপ্লিকেশন ব্যবহারের অনুরােধ এলে, নিশ্চিত
হয়ে তাতে ক্লিক না করা। গ. বয়সােপযােগী সাইট : ওয়েবে অনেক সাইট রয়েছে যা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। এই সকল সাইটে বয়সােপযােগী নানান বিষয় থাকে যা তােমাদের জন্য উপযুক্ত নয়। এ ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত তথা যন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান অনাকাঙিক্ষত চিত্র বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তােমাদের তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে নৈতিক উন্নয়নে সচেষ্ট হতে হবে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্তি আসক্তি বলে একটা ভীতিকর শব্দ আছে এবং সবাই নিশ্চয়ই এর পর সাথে পরিচিত। সাধারণত আসক্তি শব্দটা ব্যবহৃত হয় মাদকের সাথে। কোনাে একজন ব্যক্তি মাদকে আসক্ত হয়ে গেলে তার জীবনটা কেমনভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং সেখান থেকে বের হয়ে আসা কত কঠিন আমরা সবাই সেটা জানি। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির পাঠ্যবইয়ে কম্পিউটার এবং কম্পিউটার ব্যবহারের মতাে এমন চমক্কার একটা বিষয়ের সাথে আসক্তির মতাে ভয়ংকর একটা নেতিবাচক শব্দ কেমন করে জুড়ে দেওয়া হলাে সেটি নিয়ে তােমাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই অবাক হয়েছ। তােমাদের ভেতর
২০১৯
কশিটাল্প ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীল্প লিল্লাপ
যাদের কম্পিউটার আছে, তাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে কম্পিউটার গেম খেলছে খেলছে মাঝে মাঝে বাড়াবাড়ি করে ফেলে, খেলা বন্ধ করে যখন অন্য একটা জরুরি কাজ করা দরকাক্স তখনাে খলা ছেড়ে উঠতে পারছ না, এরকম অঙ্কিতা নিশ্চয়ই কারাে কারাে হয়েছে। যাদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের যোগাৰােগ আছে তাদের কারাে কারো হয়তাে ফেবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেই ফোরুক তুমি সবই নিজের সম্পর্কে কোনাে সুখ দিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছ কখন সেখানে কেউ লাইক দেবে। ফেসবুকে তােমার বল বাড়লে তুমি হয়তো আনন্দ পেয়েছ এবং ঠিক কম্পিউটার গেমের মধ্যেই ফেসবুক নামে সামাজিক নেটওয়ার্কে তোমায় যতটুক সময় দেওয়া উচিত তোমাদে কেউ কেউ নিই আয় থেকে অনেক বেশি সময় দিয়ে। এটা হয়তো খুব অস্বাভাবিক লক্ষ্ম যে তুমি যদি ফেসবুকে এত সময় না দিতে তাহলে তােমার পক্ষীক্ষার ফল আরেকট ভালাে হতো। তুমি আরো কয়েকটা ছক্কার বই পড়তে পারতে। মাঠে আরো একটু বেশি খেলতে পারছে। ভাই বােল, বাবা মাকে আরেকটু বেশি সময় দিতে পারছে। তােমাদের অনেকে কম্পিউটার গেম কিবা ফেসবুকের মধ্যে কোনাে একটা সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রয়োজনে চেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় কম। এছে সজ্যিকালের জীলের খানিকটা হলেও ক্ষতি কৰছ যারা এমনটি করছ তারা নিশ্চয়ই এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নামে ইতিবাচক শব্দটির সাথে আসক্তি নামে নেতিবাচক পটাড়ে দেওয়ায় কারণ বুঝতে পেরে আসছি। বলছে বােঝানাে হ যখন কে জালে কাজটি করা ঠিক হচ্ছে না তারপর সেই কাজটি না করে থাকতে পারে না। আজকের জন্যে এটি যেমন হতে পারে ঠিক সেরকম কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও সেটি হতে পারে। মাদক যেমন জীবনের জন্য ক্ষঙ্গিকর, বাড়াবাড়ি করা হলে কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেটও সে রকম জি কাৰণ হতে পারে। কভিটার গেম আসক্তি। কম্পিউটার গেমে আসক্সিটা প্রাল্প সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশিরভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের অঙ্গর কারণে। কম্পিউটার একটা Tool এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা

Leave a Comment

Scroll to Top