imac aluminum on table

কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ঃ দ্বিতীয় অধ্যায়


Lः गन्न।

न न न तो अगर বে অনেক সমৰ্মই অভিভাবক রে মন এটা দি যা কিছু করা হ সেটাই বশি ভালো, তুই যখন সারা দেখেন তাদের সন্তান দগ্ধ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারল না তার মাঝে সতর্ক হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিলালন এবং এই বিনােদনের নানা অকম মাত্রা অয়েছে। আন্ন সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিক বিনােদন হিসেবে নিয়ে মাত্রার তেজর বাহার করলে সেটি কোনাে সুখ বিনোদনের মতোই হতে পারে। কিন্তু প্রায় সময়ই সেটি ঘটে না। দেখা গেছে একটি ছােট শিশু থেকে পূর্ণ বয়ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে। কোরিয়া একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘষ্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে চলে পড়েলি, চীনের এক শক্তি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিল। এই উদাহরণগুলাে আমাদের মনে করিয়ে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মােটেও বিচিত্র কিছু নয় এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সই অল হয়ে যেতে পারে।
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি
কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তির বিষয়টা যেহেতু নতুন, তাই সেগুলাে নিয়ে গবেষণা এখনাে খুব বেশি হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে পুরাে বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা আরাে নিশ্চিতভাবে দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। এখনই গবেষণায় দেখা গেছে কোনাে একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয়। শুধু তাই নয় যারা সপ্তাহে অন্তত ছয় দিন টানা দশ ঘণ্টা করে কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের মতিষেকর গঠনেও এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়। কাজেই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটা বিনােদন হতে পারে কিন্তু এতে আসক্ত হওয়া খুব সহজ এবং তার পরিণতি মােটেও ভালাে নয়, সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।। সামাজিক নেটওয়ার্কে আসক্তি। মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের নিজেদের ভেতর সবসময়েই একধরনের সামাজিক যােগাযােগ ছিল। কিন্তু ইদানীং সামাজিক যােগাযােগের কথা বলা হলে সেটি মানব সভ্যতার সেই চিরন্তন সামাজিক যােগাযােগ বা সামাজিক নেটওয়ার্কের কথা না বুঝিয়ে ইন্টারনেট-নির্ভর সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের নেটওয়ার্কের কথা বােঝানাে হয়। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগলপ্লাস– এ ধরনের অনেক সামাজিক যােগাযােগ সাইট রয়েছে যেগুলােতে মানুষ নিজেদের পরিচিতদের সাথে যােগাযােগ রাখতে পারে। এক সময় এই সাইটগুলাে ছিল কম বয়সী তরুণ-তরুণীদের জন্যে, এখন সব বয়সী মানুষই সেটি ব্যবহার করে। শুধু যে একে অন্যের সাথে যােগাযােগের জন্যে এটি ব্যবহার করে তা নয়, একটা বিশেষ আদর্শ বা মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেও এটি ব্যবহার করা হয়। যে উদ্দেশ্যে এটি শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে এটি কোনাে সমস্যার জন্ম দিত না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সামাজিক যােগাযােগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর জন্যেই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে শুরু করছে। মনােবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন এবং এখন এটি মােটামুটিভাবে নিশ্চিত বলা যায় এই সাইটগুলাের সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলাে কত দক্ষতার সাথে ব্যবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরাে কর্মপদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশিবার এবং কত বেশি সময় একজনকে এই সাইটগুলােতে টেনে আনা যায় এবং তাদেরকে দিয়ে কোনাে একটা কিছু করানাে যায়। যে যত বেশিবার এই সাইট ব্যবহার করবে সেই সাইটটি তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অবশ্যই সেটি তত বেশি টাকা উপার্জন করবে। কাজেই কেউ যদি অত্যন্ত সতর্ক না থাকে তাহলে তার এই সাইটগুলােতে পুরােপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব বড় একটা আশঙ্কা রয়েছে। মনােবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলাে বিশ্লেষণ করে আরাে একটি কৌতুহলােদ্দীপক বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরেই নিজেকে প্রকাশ করার একটা ব্যাপার রয়েছে কিংবা নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাক্সক্ষা থাকে, সেটাকে মনােবিজ্ঞানের ভাষায় Narcissism বলে- সামাজিক যােগাযােগের সাইটগুলােতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়। সবার ভেতরই তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তােলার এক ধরনের প্রতিযােগিতা শুরু হয়। জেনে হােক না জেনে তােক ব্যবহারকারীরা নিজের সম্পর্কে অত্যন্ত তুচ্ছ খুঁটিনাটি তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে থাকে, কেউ সেটি দেখলে সে খুশি হয়, কেউ পছন্দ করলে আরাে বেশি খুশি হয়। পুরাে প্রক্রিয়াটি অনেকটা মাদকের মতাে কাজ করে এবং একজন ব্যবহারকারী ঘণ্টার পর ঘন্টা এই যােগাযােগের মাধ্যমে তাদের সময় অপচয় করতে থাকে। সামাজিক যােগাযােগের এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে সারা পৃথিবীতে অনেক সময়ের অপচয় হচ্ছে।
কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা
আসক্তি থেকে মুক্ত থাকার উপায় আমরা ইতােমধ্যে জেনেছি মাদকের ন্যায় কম্পিউটার গেম বা সামাজিক যােগাযােগ সাইটেও আসক্তি হতে পারে। তাই মাদকে আসক্তির জন্যে যা যা সত্যি, কম্পিউটার গেম বা সামাজিক যােগাযােগের সাইটে আসক্তির জন্যেও সেগুলাে সত্যি। তাই আমরা বলতে পারি একবার আসক্ত হয়ে যাবার পর সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা থেকে কখনােই আসক্ত না হওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। যারা এই আসক্তির ব্যাপারটি জানে না তাদের পক্ষে আসক্ত হয়ে যাবার একটা আশঙ্কা থাকে। কিন্তু তােমরা যারা এই লেখাগুলাে পড়ছ, তারা নিশ্চয়ই সতর্ক থাকবে যেন সহজেই আসক্ত না হয়ে যাও। কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনােদন, কাজেই যারা কম্পিউটার গেম খেলবে তাদেরকে জানতে হবে অন্য যেকোনাে বিনােদনের জন্যে যেটা সত্যি কম্পিউটার গেম খেলার বেলাতেও সেটা সত্যি। কম্পিউটার এক ধরনের প্রযুক্তি। তাই অনেকেই কম্পিউটার ব্যবহার করে করা যেকোনাে কাজকেই প্রযুক্তির এক ধরনের ব্যবহার বলে মনে করে, সেটা মােটেও সত্যি নয়। কম্পিউটার গেম খেলে মােটেও কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালাে জ্ঞান হয় না, খেলার আনন্দটা হয়। কাজেই কখনােই কম্পিউটার গেম খেলার কারণে নিজের দৈনন্দিন
অন্যান্য কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
আশা করা যাচ্ছে তােমরা কখনাে কম্পিউটার গেমে আসক্ত হবে না, ঠিক সেরকম তােমাদের চারপাশে যারা আছে তাদেরকেও কম্পিউটার গেমে আসক্ত হতে দেবে না। যারা কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যায়, তাদের কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে। যেমন তাদের মাথায় সার্বক্ষণিক শুধু সেই গেমটার ভাবনাই খেলা করে, যখনই তারা সেই গেমটি খেলতে বসে তাদের ভেতরে এক ধরনের অস্বাভাবিক উত্তেজনা ভর করে, তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। লেখাপড়ায় অমনােযােগী হয়ে ওঠে। জোর করে তাদেরকে এই খেলা থেকে বিরত রাখা হলে তাদের শারীরিক অস্বস্তি হতে থাকে। সবচেয়ে যেটা ভয়ের কথা, অনেক কষ্ট করে এই আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়া গেলেও হঠাৎ করে কোনাে একটা কারণে আবার সেই আসক্তি ফিরে আসতে পারে। যারা কোনাে কারণে কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যায় তারা যদি এই আসক্তি থেকে মুক্ত তাহলে সবার আগে নিজের কাছে স্বীকার করে নিতে হবে যে তাদের আসক্তি জন্মেছে। তারপর তাকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী কী তার একটা তালিকা করতে হবে। সেই তালিকায় কম্পিউটার গেমের জায়গাটুকু কোথায় সেটি নিজেকে বােঝাতে হবে। তার জীবনের সমস্যাগুলােরও একটা তালিকা করতে হবে। সেই তালিকার সমস্যাগুলাের কোনাে কোনােটি কম্পিউটার গেমের কারণে হয়েছে সেটাও নিজেকে বােঝাতে হবে। তারপর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাপড়া, হােমওয়ার্ক, মাঠে খেলাধুলা, Extra Curricular Activities, পরিবারের সাথে সময় কাটানাে, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে সবকিছুর জন্যে সময় ভাগ করে রাখতে হবে। সেই সব কিছু করার পর যদি কোনাে সময় পাওয়া যায় শুধু তাহলেই কম্পিউটার গেম খেলবে বলে ঠিক করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে কম্পিউটার গেমে সময় কমিয়ে এনে নিজেকে অন্যান্য সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। যারা সামাজিক যােগাযােগ সাইটে আসক্ত হয়ে গেছে তাদের বেলাতেও আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে একইভাবে অগ্রসর হতে হবে। প্রথমে নিজেকে বােঝাতে হবে এই ধরনের সাইটে অতিরিক্ত সময় দেওয়া ফর্মা-৫, তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি, ৯ম-১০ম শ্রেণি
৩৪

Leave a Comment

Scroll to Top