imac aluminum on table

কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ঃ দ্বিতীয় অধ্যায়


তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি।
আসলে এক ধরনের আসক্তি। প্রত্যেকবার যখন সামাজিক যােগাযােগ সাইটে কিছু একটা দেখতে ইচ্ছা করবে তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে সত্যি কি তার প্রয়ােজন আছে? যদি প্রয়ােজন না থাকে তাহলে নিজেকে নিবৃত্ত করতে হবে। প্রত্যেকবার যােগাযােগ সাইটে ঢুকলে সেখানে কতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে সেটা কোথাও লিখে রাখতে হবে। দিনে কত ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়, সপ্তাহে কত ঘণ্টা, মাসে কত ঘণ্টা সেটা হিসাব করে সেই সময়টাতে সত্যিকারের কোনাে কাজ করলে কতটুকু কাজ করা যেত সেটা নিজেকে বােঝাতে হবে। সামাজিক যােগাযােগ সাইটে আসক্তি কমাতে হলে সেখান থেকে যােগাযােগের প্রয়ােজন নেই এমন মানুষদের কাটছাট করে সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। অন্য সব কাজ শেষ হওয়ার পর সময় থাকলেই এই সাইটে ঢােকা যাবে- এটি নিজেকে বােঝাতে হবে। পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনাে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট-এর সাথে সামাজিক যােগাযােগ সাইট Deactivate করে ফেলার অভ্যাস করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে অভ্যস্ত করে আসক্তিটুক কমাতে কমাতে এক সময় পূর্ণভাবে মুক্ত হতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। সেই মুহূর্তগুলাে সত্যিকার কাজে ব্যয় না করে কোনাে একটি আসক্তির পেছনে ব্যয় করা খুব বড় অপরাধ। পাইরেসি লেখক, শিল্পীসহ সৃজনশীল কর্মীদের তাদের নিজেদের সৃষ্টকর্মকে সংরক্ষণ করার অধিকার দেওয়া কপিরাইট আইনের লক্ষ্য। সাধারণভাবে, একটি মুদ্রিত পুস্তকের কপিরাইট ভঙ্গ করে সেটি পুনর্মুদ্রণ করা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু কম্পিউটারের বেলায় যেকোনাে কিছুর ‘কপি’ বা ‘অবিকল প্রতিলিপি তৈরি করা খুবই সহজ কাজ। এজন্য এমনকি বিশেষজ্ঞ হওয়ারও প্রয়ােজন পড়ে না। এ কারণে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটারে করা সৃজনশীল কর্ম যেমন ছবি, এনিমেশন ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষণ করার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হয়। যখনই এরূপ কপিরাইট আইনের আওতায় কোনাে কপিরাইট হােল্ডারের অধিকার ক্ষুন্ন হয় তখনই কপিরাইট বিঘ্নিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণভাবে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি নামে অভিহিত করা হয়। কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, নির্মাতা বা প্রােগ্রামার তাদের কম্পিউটার সফটওয়্যারের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে, তাদের অনুমতি ব্যতীত ওই সফটওয়্যারের প্রতিলিপি করা বা সেটির পরিমার্জন । নতুন কিছু সষ্টি করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ হয়ে যায়। ফলে, কপি বা নতন সষ্টির আইনগত ভিত্তি আর থাকে না। কম্পিউটার সফটওয়্যারের পাইরেসি সােজা হলেও বিশ্বব্যাপী পাইরেসির প্রকোপ খুব বেশি একথা বলা যায় না। বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলাে তাদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী পাইরেসি নজরদারি করার জন্য বিজনেস সফটওয়্যার এলায়েন্স (BSA) নামে একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সংস্থাটির ২০১১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই পাইরেসিমুক্ত। যেহেতু সফটওয়্যার পাইরেসি খুবই সহজ, তাই এর হিসাব করাটা কঠিনই বটে। বাংলাদেশেও সফটওয়্যার পাইরেসি নিষিদ্ধ। কপিরাইট আইনের প্রয়ােজনীয়তা। কপিরাইট আইন সৃজনশীল কর্মের স্রষ্টাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার সৃষ্টকর্মের ওপর মালিকানা বা। স্বত্বাধিকার দেয়। ফলে, কোনাে সৃষ্টকর্মের বাণিজ্যিক মূল্য থাকলে সেটি তার স্রষ্টাই পান, অন্যরা নন। যেহেতু ও প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অর্থ প্রয়ােজন, সেহেতু কবি, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সফটওয়্যার ৪
কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা
নির্মাতা, ওয়েবসাইট ডিজাইনকারী সবারই অর্থের প্রয়ােজন। তারা তাদের সৃজনশীল কর্ম সৃষ্টির জন্য পরিশ্রম, মেধা এবং কখনাে কখনাে অর্থ বিনিয়ােগ করেন। কাজেই, সৃষ্টকর্ম বিক্রি বা বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁকে তার বিনিয়ােগের সুফল তুলতে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকেই। কপিরাইট আইনের আওতায় প্রাপ্ত
আইনগত অধিকার তাদের সেই সুবিধাই দেয়। যদি কোনাে শিল্পী বা প্রােগ্রামার দেখতে পান যে, তার দীর্ঘদিনের শ্রম ও মেধার ফসল অন্যরা কোনােরূপ স্বীকৃতি বা বিনিময় মূল্য (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ছাড়া উপভােগ বা ব্যবহার করছে তাহলে তিনি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। কপিরাইট আইনের কার্যকারিতা সৃজনশীল কর্মীদের এই নিরুৎসাহিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। তথ্য অধিকার ও নিরাপত্তা। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তথ্য অধিকার (Right to Information) আইন প্রণীত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা ও তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশে “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯” নামে একটি আইন চালু হয়েছে। এই আইনের আওতায় কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার রয়েছে এবং কোনাে নাগরিকের অনুরােধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকেন। এই আইনের মাধ্যমে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এই আইনে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংস্থাসমূহকে তথ্য সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে জনগণের যেকোনাে বিষয়ে তথ্য প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। এই আইনের ফলে অনেকের পক্ষে রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার একটি সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে সকল তথ্যের গােপনীয়তার সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত, সে সকল ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য প্রকাশকে বাধ্যতামূলক রাখা হয়নি। যেমন ধরা যাক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র প্রকাশের জন্য কোনাে সংস্থাকে এই আইনের আওতায় বাধ্য করা হলে তা সম্পূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, যা কাক্ষিত নয়। এ কারণে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা তথ্য অধিকার আইন সংরক্ষণ করে। একইভাবে কোনাে প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু কৌশলগত, কারিগরি বা বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশিত হলে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে সে সকল তথ্য গােপন রাখাটা এই আইনের লঙ্ঘন নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলাে যদি কোনাে তথ্য প্রকাশ করা হলে দেশের নিরাপত্তা,
অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়, তাহলে তা এ আইনের আওতায় প্রকাশযােগ্য নয়। এই সকল ক্ষেত্রে আইনের ৭ম ধারায় নিম্নোক্ত ২০টি বিষয়কে এই আইনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনাে কর্তৃপক্ষ কোনাে নাগরিককে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা (ক) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হইতে পারে
এইরূপ তথ্য;

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি
নয়
)
(খ) পররাষ্ট্রনীতির কোনাে বিষয় যাহার দ্বারা বিদেশি রাষ্ট্রের অথবা আন্তর্জাতিক কোনাে সংস্থা বা আঞ্চলিক | কোনাে জোট বা সংগঠনের সহিত বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষুন্ন হইতে পারে এইরূপ তথ্য; (গ) কোনাে বিদেশি সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত কোনাে গােপনীয় তথ্য (ঘ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে কোনাে তৃতীয় পক্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হইতে
পারে এইরূপ বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক অন্তর্নিহিত গােপনীয়তা বিষয়ক, কপিরাইট বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ | (Intellectual Property Right) সম্পর্কিত তথ্য; (ঙ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে কোনাে বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রত করিতে পারে এইরূপ
নিমােক্ত তথ্য, যথাঃ (অ) আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট ও আবগারি আইন, বাজেট বা করহার পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনাে আগাম তথ্য; (আ)মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার পরিবর্তনজনিত কোনাে আগাম তথ্য; (ই) ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও তদারকি সংক্রান্ত কোনাে আগাম তথ্য; (চ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে প্রচলিত আইনের প্রয়ােগ বাধাগ্রস্ত হইতে পারে বা অপরাধ বৃদ্ধি পাইতে পারে
এইরূপ তথ্য; (ছ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইতে পারে বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচার
কার্য ব্যাহত হইতে পারে এইরূপ তথ্য; (জ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে কোনাে ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গােপনীয়তা ক্ষুন্ন হইতে পারে এইরূপ তথ্য; (ঝ) কোনাে তথ্য প্রকাশের ফলে কোনাে ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হইতে পারে এইরূপ
|
সদীয়
খেif
পিত :
T
(ঞ)আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য কোনাে ব্যক্তি কর্তৃক গােপনে প্রদত্ত কোনাে তথ্য; (ট) আদালতে বিচারাধীন কোনাে বিষয় এবং যাহা প্রকাশে আদালত বা ট্রাইবুনালের নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে অথবা
যাহার প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল এইরূপ তথ্য, (ঠ) তদন্তাধীন কোনাে বিষয় যাহার প্রকাশ তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাইতে পারে এইরূপ তথ্য; (ড) কোনাে অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অপরাধীর গ্রেফতার ও শাস্তিকে প্রভাবিত করিতে পারে এইরূপ তথ্য; (ঢ) আইন অনুসারে কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ তথ্য; (ণ) কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে গােপন রাখা বাঞ্ছনীয় এইরূপ কারিগরি বা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ কোনাে
তথ্য; (ত) কোনাে ক্রয় কার্যক্রম সমপূর্ণ হইবার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্রয় বা উহার
কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনাে তথ্য ; (থ) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকার হানির কারণ হইতে পারে এইরূপ তথ্য; (দ) কোনাে ব্যক্তির আইন দ্বারা সংরক্ষিত গােপনীয় তথ্য;
.
ক.
২০১৯
কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা
(ধ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা পরীক্ষায় প্রদত্ত নম্বর সম্পর্কিত আগাম তথ্য; (ন) মন্ত্রিপরিষদ বা ক্ষেত্রমতে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপনীয় সার-সংক্ষেপসহ আনুষঙ্গিক
দলিলাদি এবং উক্তরূপ বৈঠকে আলােচনা ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোনাে তথ্য। তবে শর্ত থাকে যে, মন্ত্রিপরিষদ বা, ক্ষেত্রমতে, উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক কোনাে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবার পর অনুরুপ সিদ্ধান্তের কারণ এবং যে সকল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করিয়া সিদ্ধান্তটি গৃহীত হইয়াছে উহা প্রকাশ করা যাইবে। আরাে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন তথ্য প্রদান স্থগিত রাখিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য কমিশনের পূর্বানুমােদন গ্রহণ করিতে হইবে। কাজেই দেখা যায় যে, তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য পাবার পথ উন্মুক্ত ও সহজ করলেও যেসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, সেসব ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তা সংরক্ষণ করে।

Leave a Comment

Scroll to Top