বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে বছরে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টন বিভিন্ন অবৈধ পথে আমদানি করা হয়ে থাকে ।এবার ২ হাজার ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৩ লাখ ভরি সোনা বৈধ করেছেন ।

নীতিমালা না থাকায় দেশে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণনির্ভর অবৈধ ব্যবসা চলছিল সবার সামনেই । বাংলাদেশে যে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের কেনাবেচা হয় তার একটা বড় অংশ আসে চোরাই পথে। এবং বিরাট এই ব্যবসা থেকে সরকার কোন শুল্ক পায় না।

কাগজপত্রবিহীন বা অপ্রদর্শিত সোনা নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দিতে গতমাসে এনবিআর একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্র অনুযায়ী- ব্যবসায়ীরা অপ্রদর্শিত প্রতি ভরি সোনা ও সোনার অলংকারে ১ হাজার টাকা, হীরায় ৬ হাজার টাকা ও রুপায় ৫০ টাকা আয়কর প্রদান করে বৈধ করতে পারবেন। অপ্রদর্শিত সোনা বৈধকরণের উৎসাহ দেয়ার লক্ষে এনবিআর স্বর্ণমেলার আয়োজন করে।

স্বর্ণমেলায় ১৩০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আয় হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ সময় ১৩ লাখ ভরি অপ্রদর্শিত সোনা নির্দিষ্ট কর দিয়ে বৈধ করেছেন ।

ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে আয়োজিত স্বর্ণমেলা থেকে কর রাজস্ব আয় হয়েছে ১০১ কোটি টাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে স্বর্ণমেলা থেকে আয় এসেছে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা, খুলনায় ৭ কোটি ২৯ লাখ, বরিশালে ৩ কোটি ১২ লাখ, রাজশাহীতে ১ কোটি ২ লাখ, রংপুরে ৩ কোটি, সিলেটে ৩ কোটি ২০ লাখ এবং ময়মনসিংহে প্রায় ১ কোটি টাকার কর রাজস্ব এসেছে।

Your browser does not support iframes.