ডেঙ্গু জ্বর শুধুমাত্র এখন আর রাজধানী ঢাকাতে সীমাবদ্ধ নেই।ধীরে ধীরে তার ক্রমাগত হারে সারা দেশে ছড়িয়ে পরছে। প্রতিনিয়ত এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে, বলা যায় ডেঙ্গু জ্বর দিনে দিনে মহামারী আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগী ও এ রোগে মৃতের সরকারি আর বেসরকারি সংখ্যায় বিস্তর ফারাক। হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগী নিয়ে হিমশিম অবস্থায়।ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। সবার মধ্যে আতঙ্ক ডেঙ্গু নিয়ে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ তথ্য অধিদপ্তর থেকে ২৭ শে জুলাই (শনিবার) এক বার্তা পাঠানো হয়। বার্তটিতে পরামর্শ দেওয়া হয় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ানোর জন্য।
এতে আরো বলা হয়, বর্ষায় (এপ্রিল-অক্টোবর) ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় অধিক সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। অফিস, ঘর ও আশপাশে পানি জমতে দেবেন না। যে কোনো পাত্রে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করুন। এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। যথাসম্ভব লম্বা পোশাক পরিধান করুন। দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহার করুন।
তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সাম্প্রতিককালে এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে। জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান। এছাড়া জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন ও ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করুন। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।