ভারতের অন্যতম একটি বিরোধপূর্ণ অঞ্চল হল কাশ্মীর। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫এ প্রত্যাহার করে জম্মু কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পুরো কাশ্মীর জুড়ে এক থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এবার জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করল দেশটির একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাশ্মীরের জনমনে ক্রোধ চরম পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনও সময় সেই ক্রোধের চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যকলাপে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
ভারতের একটি প্রায় স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। লাদাখকে কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে এখনও পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা দেখা না-গেলেও, গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ফুঁসছে জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ।
৩৭০ বিলোপের পর কাশ্মীরিদের মধ্যে একটা উদ্বেগ কাজ করছে। কাশ্মীর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে বা সেখানে কাজ করেছেন, এমন একাধিক অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাশ্মীরে অশান্তির আশঙ্কা করছেন। কেন্দ্র যাতে কাশ্মীর নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলি দ্রুত শুরু করে, সেই পরামর্শও তাঁরা দিয়েছেন। উদ্বেগে থাকা কাশ্মীরের মানুষকে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের লাভজনক দিকগুলি বোঝাতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের মন থেকে বিভ্রান্তি দূর হয়। ৪ আগস্ট থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। সেখানকার প্রথমসারির নেতারাও নানাভাবে বন্দি হয়ে রয়েছেন। হয় গৃহবন্দি নয়তো কারাগারে। ফলে, সেখানকার সাধারণ মানুষ নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। যে কারণে শ্রীনগরে বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষ ছাড়া এখনও সে অর্থে হিংসা মাথাচাড়া দিতে পারেনি।
আপাতত শান্তিপূর্ণই রয়েছে কাশ্মীর। পাথর ছোড়ার মতো বিক্ষোভ দমনে যদিও ভিতরে ভিতরে কাশ্মীর পুলিশের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীও নিয়মিত বাড়ি বাড়ি রেইড করছে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, কালের কণ্ঠ অনলাইন