কক্সবাজার – টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কপথে অবস্থিত পুলিশ চেকপোস্টে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এখন থেকে ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে টহল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোষ্টে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি গত ৪ আগস্ট (২০২০) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। বুধবার (৫ আগস্ট) সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্ব স্ব বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।’
আইএসপিআর আরও জানায়, ‘সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজি উভয়ই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়ভার বাহিনী নেবেনা বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সুসম্পর্কেও চিড় ধরবেনা। সুষ্ঠুতদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে ও সুষ্ঠু তদন্ত কাজে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবেনা এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে মর্মে স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।’
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশও অত্যন্ত মর্মাহত। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ঘটনা এলাকার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেও এলাকার মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে উক্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশের আইজি উভয়ই সম্মত হয়ে স্ব স্ব বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’