একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় ।
ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যাবসায়ি । অর্থনীতির ক্ষেত্রে, উদ্যোক্তা শব্দটি এমন একটি সত্তার জন্য ব্যবহৃত হয় যার উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবায় অনুবাদ করার ক্ষমতা আছে। এই অর্থে, উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠিত সংস্থা এবং নতুন ব্যবসা উভয় পক্ষের কার্যক্রম বর্ণনা করে
একজন ব্যাবসায়ি তার ব্যাবসায়িক জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং গুরত্বপুরন সময় একজন উদ্যেক্তা হিসাবে কঠোর মনোবল , উদ্যাম প্রানশক্তি ও আত্ববিস্বাস কে সঙ্গী করে শত বাধা পেড়িয়ে একজন আত্বনিরভরশিল ব্যাবসায়ি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যান ।
উদ্যোক্তা কি
ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা এর ইংরেজি – Defination of Entrenourship
“উদ্যোক্তা” বা “উদ্যোক্তা” এর ধারাবাহিক সংজ্ঞা ছিল না “উদ্যোক্তা” বা entrepreneur শব্দটি ফরাসি শব্দ entreprendre থেকে এসেছে , যার অর্থ “গ্রহণ করা” ।
একজন উদ্যোক্তা এমন একজন ব্যক্তি যিনি একটি নতুন ব্যবসা তৈরি করেন, বেশিরভাগ ঝুঁকি বহন করে এবং বেশিরভাগ লাভ ও উপভোগ করেন। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াটি উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিত। উদ্যোক্তাকে সাধারণত একজন উদ্ভাবক হিসেবে দেখা হয়, নতুন ধারণা, পণ্য, পরিষেবা এবং ব্যবসা/বা পদ্ধতির উৎস।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রকারভেদ
উদ্যোগ কাকে বলে
ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা
একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কলেজে যাওয়া প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক বিখ্যাত উদ্যোক্তা কলেজ থেকে বাদ পড়ার জন্য বিখ্যাত: স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ এবং ল্যারি এলিসন, কিন্তু কয়েকজনের নাম ।
যে ব্যক্তি নতুন ব্যবসা শুরু করার ঝুঁকি গ্রহণ করে তাকে উদ্যোক্তা বলা হয়।একজন উদ্যোক্তা তাদের ধারণা বাস্তবায়নের জন্য একটি ফার্ম তৈরি করে, যা উদ্যোক্তা নামে পরিচিত, যা মুনাফার জন্য পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য মূলধন এবং শ্রমকে একত্রিত করে।
ব্যবসায় উদ্যোগ কি
নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়
“উদ্যোক্তা” শব্দটি প্রায়শই ” ছোট ব্যবসা ” শব্দটির সাথে যুক্ত হয় বা এই শব্দটির সাথে বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও বেশিরভাগ উদ্যোক্তা উদ্যোগগুলি একটি ছোট ব্যবসা হিসাবে শুরু করে, সমস্ত ছোট ব্যবসা এই শব্দটির কঠোর অর্থে উদ্যোক্তা হয় না। অনেক ছোট ব্যবসা হল একমাত্র মালিকানাধীন অপারেশন যা মালিকের সাথে থাকে – অথবা তাদের অল্প সংখ্যক কর্মচারী রয়েছে – এবং এই ছোট ব্যবসার অনেকগুলি একটি বিদ্যমান পণ্য, প্রক্রিয়া বা পরিষেবা সরবরাহ করে এবং তারা বৃদ্ধির লক্ষ্য রাখে না।
নারী উদ্যোক্তা কি
একজন উদ্যোক্তার মূলমন্ত্র কি
উদ্যোক্তাকে সাধারণত একজন উদ্ভাবক হিসাবে দেখা হয় – নতুন ধারণা এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলির একজন ডিজাইনার। সফল উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচালনার দক্ষতা এবং শক্তিশালী দল গঠনের ক্ষমতা প্রায়শই প্রয়োজনীয় নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য হিসাবে । উদ্যোক্তারাও অতীতের অভিজ্ঞতার দ্বারা উদ্যোক্তা হতে পারে।প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে তাদের কোম্পানির মধ্যে একজন নেতা হতে হবে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তাগুলি কেবল সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে না । একজন নেতাকে তাদের কর্মীদের সর্বোত্তম সম্ভাবনায় পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম, অনুপ্রেরণা এবং অনুপ্রাণিত করতে হবে, যা কোম্পানির সাফল্যের দিকে পরিচালিত করবে।
উদ্যোগ ও ব্যবসায় উদ্যোগের ধারণা
আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাই যে, তাদের অগ্রগতির একটি প্রধান কারণ হলাে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশ। আমাদের দেশে মেধা, মনন ও দক্ষতার খুব বেশি ঘাটতি নেই। শুধুমাত্র অনুকূল পরিবেশের অভাবে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রকারভেদ
একজন সফল উদ্যোক্তার গুনাবলী
আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না ।
দেশ-বিদেশের সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তার জীবনী পাঠ করে দেখা যায় যে, তাদের বেশিরভাগি প্রথম জীবনে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। দৃঢ় মনােবল, কঠোর অধ্যবসায় ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন ।
উদ্যোগ যে কোনাে বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়ােগ করাই হলাে ব্যবসায় উদ্যোগ । আর যে ব্যাক্তি এই ব্যাবসার উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনিই উদ্যোক্তা ।
- উদ্যোক্তা মানে কি
- উদ্যোক্তা কাকে বলে
- উদ্যোক্তা হতে হলে কি করবেন
- সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র
- উদ্যোক্তার গুনাবলি
- কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়
- উদ্যোক্তা কাকে বলে
- নারী উদ্যোক্তা কি
- উদ্যোক্তা হতে হলে কি করবেন
- উদ্যোক্তা বলতে কি বুঝায়
- উদ্যোক্তার গুনাবলি
- সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র
- উদ্যোক্তা ইংরেজি কি
- সামাজিক উদ্যোক্তা কি
ব্যবসায়িক পরিবেশ ও উদ্যোক্তা
বর্তমান প্রতিযােগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসায়িক পরিবেশের সকল উপাদান অনুকূল না হলে ব্যবসায়-বাণিজ্যে উন্নতি লাভ করে টিকে থাকা কঠিন।জাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভােক্তাদের মনােভাব, মানব সম্পদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রভৃতি ব্যবসায়ের পরিবেশ ।
যে ব্যক্তি দৃঢ় মনােবল ও সাহসিকতার সাথে ফলাফল অনিশ্চিত জেনেও ব্যবসায়স্থাপন করেন ও সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করেন, তিনি ব্যবসায় উদ্যোক্তা বা শিল্পোদ্যোক্তা। ব্যবসায় উদ্যোগ (Entrepreneurship) এবং ব্যবসায় উদ্যোক্তা (Entrepreneur) শব্দ দুটি একটি অন্যটির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যিনি ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই ব্যবসায় উদ্যোক্তা ।
সফল উদ্যোক্তার গুনাবলী
ঊদ্যেক্তার গুনাগুন সমুহ
- ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা।ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।
- ব্যবসায় উদ্যোগের অন্য একটি ফলাফল হলাে একটি পণ্য বা সেবা
- অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করেন
অনেকে মনে করেন উদ্যোক্তাগণ জন্মগতভাবেই উদ্যোক্তা। অর্থাৎ জন্মসূত্রেই তিনি বহু ব্যক্তিগত গুণের অধিকারী হন যা তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করতে সহায়তা করে। বর্তমান সময়ে অবশ্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং নিজের উপর বিশ্বাস ও মনোবলের মাধ্যমে এক্সজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব
ব্যাক্তিগত গুনসমুহ
সফল উদ্যোক্তার গুনাবলী
- আত্মবিশ্বাস
- সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা
- নেতৃত্বদানের যােগ্যতা
- কৃতিত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা এ ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা
সফল উদ্যোক্তা গতিশীল নেতৃত্ব দানের অধিকারী হয়ে থাকেন।উদ্ভাবনী শক্তির বলে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ার নতুন উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ এবং তা ব্যবহার করেন । ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনে নিরলস শ্রম দেন এবং ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ ও ভােগ-বিলাস পরিহার করেন। তিনি নিজের ক্ষমতা ও সিদ্ধান্তের প্রতি এত আস্থাশীল যে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম কাজ করেন এবং ফলাফল অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে নিয়ােজিত থাকেন
কঠোর পরিশ্রম
কোনাে কারণে প্রথম বার ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দ্বিতীয় বার নতুন উদ্দ্যোমে কাজ শুরু করেন। কাজে সাফল্য অর্জনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের চরিত্রের একটি উল্লেখযােগ্য দিক। প্রকৃত উদ্যোক্তারা নিজেদের ভুল অকপটে স্বীকার করেন এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা ও অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের কর্মক্ষেত্রে সেই শিক্ষার প্রয়ােগ উদ্যোক্তার একটি বিশেষ গুণ। সফল উদ্যোক্তা তাদের কাজের সাফল্যে পরিতৃপ্তি ও অসীম আনন্দ পান।
সাফল্য ও ব্যর্থতা
ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচনের উপর। ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন সাফল্য লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত। পণ্য বা ব্যাবসার ধরন নির্বাচনের পূর্বে বাজারে সেবা বা পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযােগ্যতা যথাযথভাবে নিরূপণ করতে হবে।
- সঠিক পণ্য নির্বাচন
- পণ্যের চাহিদা নির্ধারণ
- সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার
- আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকা পন্য বা সেবার ক্রেতা
- পন্য বা সেবার ক্রেতা আছে কি না তা যাচাই করা
- পন্য বা সেবার বাজারজাত করার পন্থা ঠিক করা
বাজার জরিপ ও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে পণ্যের সঠিক চাহিদা নিরূপণ ব্যবসায়ে সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। তাছাড়া পণ্যের বাজারের পরিধি এবং বাজারজাতকরণের কৌশল পূর্বেই যথার্থভাবে নিরূপণ করতে হবে। অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা উদ্যোক্তার ব্যবসা সম্পর্কে পূর্ব-অভিজ্ঞতা এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবসায় সফল হতে সাহায্য করে ।
ব্যবসায় একবার ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণগুলাে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে হতাশ হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষা গ্রহণ করে নতুনভাবে কাজ শুরু করার মধ্যে ব্যবসায়ের সাফল্য নিহিত। সুষ্ঠু ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন ব্যবসায় সফলতা অর্জনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন। ব্যবসায়ে হাত দেওয়ার পূর্বেই ব্যবসার কাজ কখন এবং কীভাবে করা হবে তা অগ্রিম চিন্তা করে ঠিক করাই হচ্ছে পরিকল্পনা।
কর্মীগণ
প্রশিক্ষিত কর্মীগণ অধিকতর দক্ষতা ও মিতব্যয়িতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানের কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অপচয় হ্রাস পায় । ক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের অপ্রতুলতা দূরীকরণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সবসময় উপযুক্ত শিক্ষাপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি সংগ্রহ করা সম্ভুব হয় না। সেজন্য নিয়ােগের পর কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সে প্রয়ােজন পূরণ করা হয়। এভাবে প্রতিষ্ঠানের দক্ষ ও
অভিজ্ঞ কর্মীর অভাব দুরীভূত হয়
ব্যবসায় উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য (Charecteristics of Business Entrepreneurship)
১। এটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ। ব্যবসায় স্থাপন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।
২। ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা। ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে। ৩। ব্যবসায় উদ্যোগের ফলাফল হলাে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর মানে হলাে ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোনাে চিন্তা-ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে। ৪। ব্যবসায় উদ্যোগের অন্য একটি ফলাফল হলাে একটি পণ্য বা সেবা।
৫। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করা। ৬। নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
৭। অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করেন।
৮। নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানবসম্পদ উন্নয়ন হয় তেমনি মূলধনও গঠন হয়।
৯। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা। ব্যবসায় উদ্যোগ দেশের আয় বৃদ্ধি ও বেকার সমস্যার সমাধানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে। ১০। মুনাফার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণ করা। ব্যবসায় উদ্যোগ উদ্যোক্তাদের সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করে।
সফল উদ্যোক্তাগণ দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক সুযােগ-সুবিধাগুলাে চিহ্নিত করে তা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে সক্ষম। শিল্প উন্নয়নের জন্য সরকার প্রদত্ত সুযােগের ব্যবহারে তারা দক্ষতার পরিচয় দেন। তারা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানাের জন্য সীমিত সম্পদের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যথােপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সফল উদ্যোক্তাগণ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলাে আগে থেকে অনুমান করেন এবং সেগুলাে মােকাবেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপখাইয়ে চলা এবং অন্যের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা সফল উদ্যোক্তার বিশেষ গুণ বলে বিবেচিত হয়। তারা ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি বিচক্ষণতার সাথে নিরূপণ করেন এবং তা এড়ানাে বা কমানাের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরিমিত পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ সফল উদ্যোক্তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। প্রয়ােজনবােধে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে চলা এবং লক্ষ্য অর্জনে সমন্বয় সাধন। উদ্যোক্তার বড় আরেকটি গুণ। ব্যবসায় থেকে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনের অনিশ্চয়তাকেই ব্যবসায়ের ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা পুর্বেই ঝুঁকির সম্ভাব্য কারণ ও মাত্রা অনুমান করেন এবং সেগুলাে মােকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সফল উদ্যোক্তা গতিশীল নেতৃত্ব দানের অধিকারী হয়ে থাকেন। সফল উদ্যোক্তা পুঁজি সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থসংস্থান ও তার যথােপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের বতুগত ও জনসম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে দক্ষতার পরিচয় দেন। ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে সফল উদ্যোক্তা গভীর জ্ঞান রাখেন। প্রচলিত প্রযুক্তির সাথে নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করা সম্পর্কে সফল উদ্যোক্তার ধারণা সময়গাপযােগী। উদ্ভাবনী শক্তির বলে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ার নতুন উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ এবং তা ব্যবহার করেন
E